• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মির্জাপুরে কমছে বন্যার পানি ভাঙছে নদী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২০  

টাঙ্গাইলের মির্জাপুরে বন্যায় বংশাই-লৌহজং নদীর দুই পাড়ে তীব্র ভাঙন শুরু হয়েছে। বন্যার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে নদী ভাঙন তীব্র আকার ধারণ করায় দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।হুমকির মুখে পড়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, হাট বাজার, রাস্তা-ঘাট, ব্রিজ ও ফসলি জমি।


বৃহস্পতিবার ফতেপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আব্দুর রউফ জানান, বন্যার পানি কমতে শুরু করায় বংশাই ও লৌহজং নদীর ফতেপুর, হিলড়া আদাবাড়ি, থলপাড়া, বৈন্যাতলী, চাকলেশ্বর, গোড়াইল, গাড়াইল, পুষ্টকামুরী পুর্বপাড়া, বাওয়ার কুমারজানি, ত্রিমোহন, বান্দরমারা, যুগিরকোপা, রশিদ দেওহাটাসহ বিভিন্ন এলাকায় দেখা দিয়েছে নদী ভাঙন। লৌহজং নদীর মাঝালিয়া, গুনটিয়া, চুকুরিয়া, বরাটি, দেওহাটা, কোর্ট বহুরিয়া, বহুরিয়া, কামারপাড়া, নাগরপাড়াসহ বেশ কয়েকটি এলাকা নদী ভাঙনে বহু পরিবার দিশেহারা হয়ে পরেছেন।

 সরকারি ভাবে নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলো এখন পর্যন্ত কোন ত্রাণ সহায়তা পাননি। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ব্রিজ, কালভার্ট ও রাস্তা-ঘাট ফসলি জমি।

খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, বন্যার পানি কমলেও রাস্তা ভেঙে দুর্ভোগে এলাকাবাসী।


 কদিমধল্যা-বাসাইল সড়ক, কদিমধল্যা-বরাটি রাস্তা, পাকুল্যা-লাউহাটি রাস্তা, কাটরা-উফুলকী রাস্তা, মির্জাপুর-ওয়ার্শি-বালিয়া রাস্তা, মির্জাপুর-কামারপাড়া-ভাওড়া রাস্তা, দেওহাটা-বহুরিয়া রাস্তা, কুরনী-ফতেপুর রাস্তা, গোড়াই-সখীপুর রাস্তাসহ শতাধিক আঞ্চলিক রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বহু পরিবার কষ্টের মধ্যে জীবন যাপন করছেন।


এদিকে ভাঙন ও নদীতে পানির চাপ বেড়ে যাওয়ায় বংশাই নদীর থলপাড়া ব্রিজ, ত্রিমোহন বীর মুক্তিযোদ্ধা একাব্বর হোসেন ব্রিজ, লতিফপুর ব্রিজ, লৌহজং নদীর গুনটিয়া ব্রিজ, বরাটি বাবু দুঃখীরাম রাজবংশী ব্রিজ, পুষ্টকামুরী ব্রিজ, পাহাড়পুর ব্রিজ, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম নুরু ব্রিজ এবং ওয়ার্শি ব্রিজ হুমকির মুখে বলে জানা গেছে।

উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) মোহাম্মদ আরিফুর রহমান এবং টাঙ্গাইলের সড়ক ও জনপথ বিভাগের প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান মনির বলেন, বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা ও ব্রিজের প্রকল্প তৈরী করে বরাদ্ধ চেয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। বরাদ্ধ এলে ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তার দ্রুত সংস্কার করা হবে।

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবদুল মালেক মোস্তাকিম বলেন, নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার এবং ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন পানি উন্নয়ন বোর্ড। নদী ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা ইউপি চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়েছে। ক্ষগ্রিস্তদের মাঝে সহায়তা প্রদান করা হয়েছে।