• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

সাভারে ১২টি ইটভাটা ও রিসাইক্লিং কারখানাকে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ মার্চ ২০২১  

সাভারে পরিবেশ দূষণ ও অবৈধভাবে জমি থেকে মাটি কাটার অভিযোগে ১২টি ইটভাটা ও একটি রিসাইক্লিং কারখানাকে ৬১ লাখ টাকা জরিমানা করেছে পরিবেশ অধিদপ্তরের ভ্রাম্যমাণ আদালত। সোমবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়নের সালেহপুর ও চাঁনপুর এলাকায় অবস্থিত ভাটাগুলোতে অভিযান পরিচালনা করেন পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ।


পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলার উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বে অভিযানে ঢাকা জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোসাব্বের হোসেন মুহাম্মদ রাজীব, হায়াত মাহমুদ রকিব ও পরিদর্শক প্রতীক ইসলাম অংশ নেন।


পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক জহিরুল ইসলাম তালুকদার বলেন, রাজধানীর পাশে আমিনবাজার ও আশপাশের এলাকায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা অন্তত ৫০টি ইটভাটায় দীর্ঘদিন ধরে ইট পোড়ানো হচ্ছে। পরিবেশ দূষণ ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকাসহ নানা অভিযোগে এ অভিযান চালানো হয়েছে। 


অভিযানে মিথুন রিসাইক্লিং সেন্টারকে ২ লাখ, মেসার্স নুর ব্রিকসকে ৫ লাখ, মেসার্স এইচ এম ব্রিকস-২কে ৫ লাখ, মেসার্স একেবি ব্রিকসকে ৬ লাখ, মেসার্স এমএএইচ ব্রিকসকে ৫ লাখ, মেসার্স সোনার বাংলা ব্রিকসকে ৬ লাখ, মেসার্স ইউসুফ ব্রিকসকে ৬ লাখ, মেসার্স এমএইচএম ব্রিকসকে ৫ লাখ, মেসার্স এবিসি-১ ব্রিকসকে ৫ লাখ, মেসার্স এবিসি-২ ব্রিকসকে ৪ লাখ, মেসার্স এমআরবি ব্রিকসকে ৪ লাখ, মেসার্স মিতালী ব্রিকসকে ৫ লাখ এবং মেসার্স এমএসএম ব্রিকসকে ৪ লাখ টাকাসহ মোট ৬১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।


পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী তামজীদ আহমেদ জানান, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী ঢাকার চারপাশের বিভিন্ন জেলার অবৈধ ইটভাটা উচ্ছেদে অভিযান চলছে। এর অংশ হিসেবে আজ সাভারে অভিযান চালিয়ে অবৈধ এসব ইটভাটা গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

 
তবে সাভার ইটভাটা মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলী আশরাফ ইফতেখার জানান, পরিবেশ অধিদপ্তরের সকল কাগজপত্র থাকা সত্ত্বেও শুধুমাত্র মাটিকাটার অভিযোগ এনে আমার ইটভাটাকে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। করোনাকালীন সময়ে ইটভাটার মালিকরা এমনিতেই ক্ষতিগ্রস্ত। তার উপর পরিবেশ অধিদপ্তরের হঠাৎ এ ধরনের অভিযান আমাদের জন্য মরার উপর খারার ঘাঁ। মাটি কাটার ক্ষেত্রে অলাদা অনুমোদনের বিষয়টি পরিবেশ অধিদপ্তর আমাদের আগে কখনো জানায়নি।


অভিযানকালে যে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং সাভার ফায়ার সর্ভিসের একটি দল উপস্থিত ছিলেন।