• শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

  • || ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

৭১ টিভি`র বহিস্কৃত সাভার প্রতিনিধি মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে এবার ত

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৫ নভেম্বর ২০১৯  

মিঠুন সরকারের  বিরুদ্ধে এবার  স্ত্রীকে নির্যাতন, যৌন হয়রানিসহ হত্যা ও মিথ্যা মামলায় জড়ানোর হুমকির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এবিষয়ে  তার স্ত্রী নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে  প্রথমে সাভার  থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। পরবর্তীতে ০৩ অক্টোবর   রোববার ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-৯ – এ মামলা করেন। আদালত পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। 

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সাভার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এ এফ এম সাঈদ বলেন, মিঠুন সরকারের বিরুদ্ধে থানায় কয়েকটি মামলা চলমান আছে। গত ২০ অক্টোবর  একটি বলাৎকারের  মামলা হয়েছে। এ ছাড়া তার স্ত্রী তার বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ ও ডায়েরি করেছেন। এটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।  

আদালতের মামলা ও থানার ডায়েরির বর্ণনা অনুযায়ী, বছর তিনেক আগে মিঠুন সরকার বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই টাকার জন্য স্ত্রীকে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন। প্রায় রাতেই স্বামী – স্ত্রী আলাদা ঘুমাতেন। তবে মাঝেমধ্যে মিঠুন স্ত্রীর ঘরে অন্য পুরুষ ঢুকিয়ে তাকে যৌন নির্যাতন করাতেন। 

মিঠুন সরকারের স্ত্রীর কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি  বলেন, প্রায় রাতেই মিঠুন কোনো না কোনো পুরুষ নিয়ে আসতেন। এ সময় জোর করে ওষুধ সেবন করিয়ে তাকে অচেতন করা হতো। ওষুধ সেবনে সম্মতি না করলে মারধর করতো মিঠুন। 
কয়েক মাস আগে তিনি এক রাতে কৌশলে ওষুধ সেবন না করেই ঘুমের অভিনয় করে শুয়ে থাকেন। ওই রাতে এক যুবক তার ঘরে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। ওই যুবক তার স্বামীর সাথে সন্ধ্যায় বাসায় এসেছিলেন। 
সাক্ষাৎকারে মিঠুন সরকারের স্ত্রী আরো জানান, গত  ২৫ সেপ্টেম্বর অপর এক  যুবক তার কক্ষে ঢুকে তাকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন।  এ সময় মিঠুন আপত্তিকর ছবি  তোলেন, প্রতিবাদ করলে এসব ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন। এ ছাড়াও মিঠুন তার পিতা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধেও মিথ্যা মামলার হুমকি দিতেন।  

মিঠুনের অত্যাচারে  তিনি পিতার পরিবারে আশ্রয় নিয়েছেন। এরপরও তাকে ও তার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিচ্ছিলেন মিঠুন। এ কারণে নিজের ও পরিবারের নিরাপত্তার কথা ভেবে তিনি জিডি ও মামলা করেছেন। 
এ প্রসঙ্গে মিঠুনের শাশুড়ি  বলেন, আমরা বাঁচতে চাই। আইনপ্রয়োগকারী সংস্থাসহ সমাজের সচেতন মহল আমাদের সহযোগিতা না করলে   মিঠুন আমার মেয়ে ও আমাদের  পরিবারের সবাইকে মেরে ফেলবে।