• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়: নামেই শুধু আবাসিক,সিট সংকট চরম

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ এপ্রিল ২০১৯  

আবাসিক ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিত জাহাঙ্গীরনগনর বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বত্র প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের পদচারণায় এখন মুখরিত ক্যাম্পাস । কিন্তু নামে আবাসিক হলে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের হলগুলোতে চরম সীট সংকট বিরাজমান। সেশনজট, বেকারত্ব, সদিচ্ছার অভাব, ছাত্র রাজনীতি, যার ফলে সম্যসা আর ও প্রকট আকার ধারণ করেছে।  অপরদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন  বরাবরই বলছে সংকট নীরসনে তাদের প্রচেষ্টার কথা।

বিশ্ববিদ্যালয়টি বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১৫০০০। ছেলেদের এবং মেয়েদের ৮ টি করে মোট ১৬ টি হল রয়েছে।যা শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট নিরসনে যথেষ্ঠ নয়। খোঁজ নিয়ে দেখা যায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এর প্রথম বর্ষের ৯০ জন শিক্ষার্থী একটা কক্ষে রিডিং রুমের ফ্লোরে অবস্থান করছে। সেখানে নেই দরজা, পর্যাপ্ত লাইট,ফ্যান। জানালার কাঁচগুলো ভাঙ্গা,ওয়াশরুমগুলো বেশিরভাগই ব্যবহার অনুপযোগী । স্যাঁতসেতে ফ্লোরে  ঠান্ডার মধ্যে শিক্ষার্থীরা রাত যাপন করে। একই দশা মীর মশাররফ হোসেন,শহীদ সালাম বরকত, আ ফ ম কামালউদ্দিন ও বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর হল এর গণরুমগুলোতে।

১৯৭৩ সালের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশের ৪০ নং ধারায় বলা হয়েছে,এটি একটি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি শিক্ষার্থী আবাসিক হল এ অবস্থান করবে। বিশেষ কোন কারণ ছাড়া এবং বিশ্ববিদ্যালয় সিন্ডিকেটের বিশেষ অনুমোদন ছাড়া কোন শিক্ষার্থী ক্যাম্পাসের বাইরে থাকতে পারবে না।

কিন্তু উক্ত আদেশের সাথে বাস্তবে কোন মিল নেই। আবাসনের ব্যবস্থা না করে নতুন নতুন বিভাগ খোলা,হল প্রশাসনের সীট বরাদ্দে কার্যত কোন ভূমিকা না থাকা, নিয়মিত তদারকি না করা,পোষ্যদের হল এ অবস্থান,বেশি শিক্ষার্থী ভর্তি করানোকে মূল কারণ হিসেবে দায়ী করছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল এর প্রাধাক্ষ্য ফরিদ আহমদ বলেন, 'বিশ্ববিদ্যালয় জ্ঞান চর্চার কেন্দ্র। কিন্তু শিক্ষার্থীরা উপযুক্ত পরিবেশ না পেলে তা সম্ভব না।আমরা সীট সংকট সমাধানে চেষ্টা করছি। তবে বর্তমানে শিক্ষার্থীর সংখ্যা বাড়ায় নতুন হল নির্মাণ করা প্রয়োজন ।'

পরিবহন অফিস সূত্রে জানা যায়, ১ম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীদের সিট সংকট থাকায় যেসব শিক্ষার্থী ঢাকা থেকে আসা-যাওয়া করবে তাদের জন্য বিভিন্ন রুটে নির্দিষ্ট সময়ে ক্যাম্পাস টু ঢাকা এবং ঢাকা টু ক্যাম্পাস গাড়ী চলাচল করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.ফারজানা ইসলাম বলেন, 'আবাসন সংকট সমাধানে ৬ হাজার সিটের দশ তলা বিশিষ্ট ৩টি ছেলেদের হল এবং ৩টি মেয়েদের হল দ্রুত নির্মাণ করা হবে। আশা করা হচ্ছে তাতে আর কোন অসুবিধা থাকবে না।'