• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

পদ্মার ভাঙন ঠেকাতে জিও ব্যাগ বরাদ্দ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৭ জুলাই ২০১৯  

মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুর উপজেলায় প্রতিবছরের ন্যায় এবারও পদ্মা ভাঙন দেখা দিয়েছে নদীতে পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় হরিরামপুর উপজেলার পদ্মা তীরবর্তী বয়ড়া, কাঞ্চনপুর, গোপীনাথপুর ও রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নে ভাঙন ভয়াবহ রূপ নিয়েছে

চলতি মাসের ১৩ তারিখে পানি সম্পদ উপমন্ত্রী এনামুল হক শামীম এমপি মানিকগঞ্জ জেলার শিবালয় উপজেলায় পদ্মা নদী থেকে মাত্র পাঁচ হাত দূরে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করেন মন্ত্রী এ সময় বলেন, নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় সরকার সবধরনের পদক্ষেপ নেবে দীর্ঘমেয়াদী পদক্ষেপ নিতে হয়তো কিছুটা সময় লাগবে তিনি বর্ষাকালীন ভাঙন থেকে তীরবর্তী জনপদ রক্ষার জন্য মানিকগঞ্জের বিভিন্ন থানায় জিওব্যাগ ফেলার অনুমোদন দেন

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতির অনুরোধে মন্ত্রী মহোদয় হরিরামপুর উপজেলার জন্য চার কোটি টাকার প্রায় ১০ হাজার জিও ব্যাগ বরাদ্দ করেন

মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দীনের সার্বিক তত্ত্বাবধানে হরিরামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. গোলজার হোসেন বাচ্চু ও সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান আব্দুর রব সরাসরি পদ্মা ভাঙনরত এলাকায় জিওব্যাগ ফেলার কাজ তদারকি করছেন, যা পদ্মাপাড়ের মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও স্বস্তি ফিরিয়ে এনেছে

পদ্মা ভাঙন হরিরামপুরের মানুষের প্রধান সমস্যা এ উপজেলার দুই তৃতীয়াংশ ইতোমধ্যে পদ্মা গর্ভে বিলীন হয়েছে দীর্ঘদিন যাবত এ এলাকার আপামর জনতা পদ্মা ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়ে আসছে

সম্প্রতি উপজেলা সদর রক্ষার্থে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি রক্ষাবাঁধ নির্মাণ করেছেন কিন্তু এ বাঁধের আওতার বাইরেও কাঞ্চনপুর, গোপীনাথপুর, রামকৃষ্ণপুর, ধুলশুরা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় ভাঙন অব্যাহত আছে প্রায় পাঁচ বছর যাবত এসব এলাকায় নদী ভাঙনরোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ ও পদ্মা নদীতে অবৈধ ও অপরিকল্পিত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন ব্যবসার বিরুদ্ধে এলাকার ছাত্র-জনতা ‘পদ্মা ভাঙ্গন থামাও, হরিরামপুর বাঁচাও’ নামক ফেসবুক গ্রুপের মাধ্যমে নিয়মিত দাবি জানিয়ে আসছে

এ বিষয়ে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক উপ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ও ‘পদ্মা ভাঙ্গন থামাও, হরিরামপুর বাঁচাও’ ফেসবুক গ্রুপের সক্রিয় সদস্য রাসেল হোসেন বলেন, বন্যার পানি বাড়ার সাথে সাথেই হরিরামপুরে পদ্মার ভাঙন প্রতিবছরই শুরু হয় কিন্তু এইবছর তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী এবং মন্ত্রী মহোদয়কে ধন্যবাদ সেই সঙ্গে হরিরামপুরের পদ্মাপাড়ের মানুষ আসা করছে যে, হরিরামপুরের রামকৃষ্ণপুর, বাহাদুরপুর, গোপীনাথপুর, কাঞ্চনপুর, ধুলসূরা এলাকায় যেইটুকু যায়গা বাধের বাইরে রয়েছে তা অনতিবিলম্বে খুব দ্রুত গতির সঙ্গে বাকি বেড়িবাঁধ টুকু সম্প্রসারণ হবে সেইটা হরিরামপুরের জনগণ প্রত্যাশা করেন এবং পদ্মা ভাঙন রোধে প্রাথমিক ভাবে এই ১০হাজার জিও ব্যাগ ফেলা খুবই প্রশংসনীয় উদ্যোগ, সেটা আমরা স্থায়ী সমাধান চায় যে স্থানে বাধ সম্প্রসারণের বাকি রয়েছে অনতিবিলম্বে সেটা হবে এমনটাই প্রত্যাশা