• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ঝাঁজ বেড়েছে পেঁয়াজ-মরিচের

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০১৯  

ঈদ-উল-আজহার এখনো বাকী এক মাস। এর আগেই চড়া পেঁয়াজ-মরিচ ও রসুনের বাজার। পেঁয়াজ-রসুনের পাশাপাশি বেড়েছে সবজিরও দাম।

শুক্রবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচা,কচুক্ষেত বাজার ঘুরে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

চলতি সপ্তাহে পেয়াজের কেজি দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়, রসুন গত সপ্তাহের চেয়ে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। দাম বাড়ার পেছনে সেই পুরোনো অজুহাত দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা-সরবরাহ কম।

কারওয়ানবাজারে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত মঙ্গলবার থেকেই ব্যবসায়ীরা ৫০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজের পাল্লা বিক্রি করছেন ২৫০ টাকায়। 

পেঁয়াজের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী মো. রহিম বলেন, গত মঙ্গলবার ও বুধবার পেঁয়াজের কেজি ৫০ টাকা বিক্রি করেছি। আজও তা ৫০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি। 

আরেক ব্যবসায়ী বলেন, পাইকারিতে হঠাৎ করেই পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমরাও কিছুদিন বাড়তি দামে বিক্রি করেছি। ৩০ টাকার পেঁয়াজের দাম এক লাফে বেড়ে ৫০ টাকা হয়েছিল।

দাম বৃদ্ধির কারণ হিসেবে পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, সরবারাহ কম তাই দাম বেশি।

এদিকে কাঁচামরিচের পোয়া (২৫০ গ্রাম) বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৩৫ টাকা, যা গত সপ্তাহে ছিল ১৫ থেকে ২০ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে কাঁচামরিচের দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

কাঁচামরিচের দামের বিষয়ে ব্যবসায়ী করিম উল্লাহ বলেন, গত সপ্তাহে এক পোয়া কাঁচামরিচ বিক্রি করেছি ২০ টাকায়। সেই মরিচের পোয়া এখন ৩০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। পাইকারিতে দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে আমাদের এমন বাড়তি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

এই ব্যবসায়ী আরো বলেন, কয়েকদিন ধরে বৃষ্টি হচ্ছে। এতে মরিচের ক্ষতি হচ্ছে। বৃষ্টির পানিতে মরিচ যেমন নষ্ট হচ্ছে, তেমনি মরিচ গাছও পঁচে যাওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এভাবে বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে কাঁচামরিচের দাম সামনে আরো বাড়তে পারে।

অন্যদিকে রাজধানীর বিভিন্ন সবজির বাজার ঘুরে দেখা গেছে, সপ্তাহের ব্যবধানে অধিকাংশ সবজির দাম কেজি প্রতি ১০ থেকে ১৫ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি পটল ৩০ টাকা, ঢেঁড়শ ৩০ টাকা, বেগুন প্রকারভেদে ৪০ থেকে ৫০  টাকা, কচুর লতি ৫০ টাকা, কচুর ছড়া ৪০ টাকা, চিচিঙা ৩০ টাকা, পেঁপে ৩০ টাকা,  করলা ৫০ টাকা, কাকরোল ৫০ টাকা, কাঁচা মরিচ৪০ টাকা বেড়ে ১০০ টাকা, শসার বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকা, টমেটো ৭০ টাকা, বরবটি ৪০ টাকা। মিষ্টি কুমড়া পিচ ২০ টাকা, লাউ ৪০ টাকা, ফুলকপি ৩০ টাকা পিচ, বাধাকপি ৪০ টাকা পিচ, জালি কুমড়া ৩০ টাকা পিচ।

অপরদিকে প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা দরে, যা আগে ছিল ১৪০ টাকা কেজি। আর লেয়ার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৪০ থেকে ২৬০ টাকায়।  অপরিবর্তিত রয়েছে গরু ও খাসির মাংসের দাম।

তবে চড়া রয়েছে মাছের দাম। তেলাপিয়া বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকা কেজি, পাঙাশ ৫০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে কেজি ২০০ টাকা।  রুই মাছ ২৮০ থেকে ৪০০, পাবদা ৫০০ টাকা, টেংরা ৭০০ টাকা, শিং ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।