যে কারণে বিশ্বে সবচেয়ে বেশি মৌসুমী ঘূর্ণিঝড় বঙ্গোপসাগরেই হয়
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২০ মে ২০২০
বঙ্গোপসাগরের তটরেখাকে ঘিরে প্রায় ৫০ কোটি মানুষের বাস।একেক মৌসুমে একেক রুপে সাজে এই বিস্তীর্ণ জলরাশি। জানুয়ারিতে এর রূপ থাকে একদম শান্ত এবং নীল। আর একেবারে ভিন্ন রূপ ধারণ করে গ্রীষ্মের বৃষ্টিতে। সারাক্ষণই ফুঁসতে থাকে এই ঘোলা জলের সমূদ্র। অনেকেরই মনের আনন্দের ও প্রশান্তির একমাত্র খোরাক এই বিশাল সমুদ্র।
বিশ্বের ইতিহাসে অনেকবার ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হেনেছে। জানেন কি, পৃথিবীতে যতসব ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় উপকূলে আঘাত হেনেছে, তার বেশিরভাগই হয়েছে এই বঙ্গোপসাগরে।
বিশ্বের ৩৫টি সবচাইতে ভয়ংকর মৌসুমী ঘূর্ণিঝড়ের তালিকা রয়েছে 'ওয়েদার আন্ডারগ্রাউন্ড' নামের একটি ওয়েবসাইটে। আর এই তালিকার ২৬টি ঘুর্ণিঝড়ই হয়েছে বঙ্গোপসাগরে। এবার হতে যাচ্ছে ঘূর্ণিঝড় আম্ফাম। আশংকা করা হচ্ছে, এটি বুধবার বিকেল নাগাদ বাংলাদেশ এবং ভারতের উপকূলে আঘাত হানবে। আর এবারে এটি হবে ২৭তম ঘূর্ণিঝড়।
ভারতের আবহাওয়া দফতরের কর্মকর্তারা বলছেন, এই ঘূর্ণিঝড়টি উপকূলে আঘাত হানার সময় ভয়ংকর শক্তিশালী হয়ে উঠবে। ঘূর্ণিঝড়ের সময় ঘন্টায় ১৯৫ কিলোমিটার (১২১ মাইল) বেগে বাতাসের সর্বোচ্চ গতি থাকবে। আর প্রায় দোতলা বাড়ির উচ্চতায় জলোচ্ছাস হবে।
নিশ্চয়ই প্রশ্ন থাকতে পারে বঙ্গোপসাগরে কেন এত বেশি ভয়ংকর ঘূর্ণিঝড় হয়? চলুন এই বিষয়ে জেনে নেয়া যাক বিস্তারিত-
আবহাওয়াবিদদের মতে, সামূদ্রিক জলোচ্ছাস সবচেয়ে ভয়ংকর হয়ে উঠে অবতল আকৃতির অগভীর উপসাগরে। মৌসুমী ঘূর্ণিঝড়ের তীব্র বাতাস যখন এরকম জায়গায় সাগরের পানিকে ঠেলতে থাকে, তখন ফানেল বা চোঙার মধ্যে তরল যে আচরণ করে, এখানেও তাই ঘটে। সাগরের ফুঁসে উঠা পানি চোঙা বরাবর ছুটতে থাকে।
আবহাওয়াবিদ এবং ওয়েদার আন্ডারগ্রাউন্ডের একজন লেখক বব হেনসন বলছেন, এই রকম ভৌগোলিক বৈশিষ্ট্যের টেক্সটবুক উদাহারণ হচ্ছে বঙ্গোপসাগর।
তবে ভারতের আবহাওয়া দফতরের প্রধান ডি. মহাপাত্র বলছেন, বঙ্গোপসাগরে এর সঙ্গে যুক্ত হয় আরো বাড়তি কিছু বৈশিষ্ট্য। যেমন সমূদ্রের উপরিতল বা সারফেসের তাপমাত্রা। যা পরিস্থিতিকে আরো বেশি বিপজ্জনক করে তোলে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গোপসাগর খুবই উষ্ণ এক সাগর।
লুইজিয়ানার গালফ কোস্টের মতো পৃথিবীর নানা অঞ্চলে আরো অনেক উপসাগর আছে। সেখানেও উপকূল বরাবর এই ধরনের জলোচ্ছ্বাসের ঝুঁকি আছে।
তবে বব হেনসন বলছেন, বিশ্বের অন্য যে কোনো উপকূলের চাইতে বঙ্গোপসাগরের উত্তর উপকূল এই ধরনের সার্জ বা জলোচ্ছ্বাসের সবচাইতে বেশি ঝুঁকিতে আছে। আর এই উপকূলজুড়ে এমন ঘনবসতি ঝুঁকি আরো বাড়িয়ে দিচ্ছে। দেখা যায়, বিশ্বের প্রতি চারজন মানুষের একজন বঙ্গোপসাগর উপকূলের দেশগুলোতে থাকে।
আম্ফাম নিয়ে এত বেশি উদ্বেগের কারণ
বঙ্গোপসাগরে জেলেদের সতর্ক হওয়ার দৃশ্য
এই উদ্বেগের প্রধান কারণটি হচ্ছে এটি একটি 'সুপার সাইক্লোন'। এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় বাতাসের সর্বোচ্চ গতি হবে প্রতি ঘন্টায় ১৩৭ মাইল বা ২২০ কিলোমিটারের বেশি। তাছাড়া সাইক্লোন বা ঘূর্ণিঝড় বহু ধরনের বিপদ নিয়ে আসে। যেমন-
> প্রচণ্ড ঝড়ো হাওয়া সবকিছু ধ্বংস করে দিতে পারে।
> ঝড়ের সঙ্গে সঙ্গে সামূদ্রিক জলোচ্ছ্বাস ধেয়ে আসবে। আর ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে প্রচন্ড ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হবে, যাতে বন্যা দেখা দেবে।
বঙ্গোপসাগরে বা আরব সাগরে অনেক ঘূর্ণিঝড় হয়। তবে প্রতি দশ বছরে সব ঘূর্ণিঝড়ের মধ্যে মাত্র একটি হয়তো এরকম প্রচন্ড ক্ষমতা বা শক্তির ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়।
১৯৭০ সালের নভেম্বর মাসে বিশ্বের ইতিহাসের সবচাইতে প্রাণঘাতী ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল বাংলাদেশে। যা ভোলায় আঘাত হেনেছিল। প্রায় ৫ লাখ মানুষ এতে প্রাণ হারিয়েছিল। এই ঘূর্ণিঝড়ের সময় যে জলোচ্ছ্বাস হয়েছিল তার উচ্চতা ছিল ১০ দশমিক ৪ মিটার বা ৩৪ ফুট।
ডক্টর সুনিল অমৃত একজন ইতিহাসবিদ। তিনি হার্ভাড বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ান। তিনি বলছেন, বঙ্গোপসাগরে সাম্প্রতিক সময়ে আরো বেশি ঘনঘন প্রচণ্ড মাত্রার ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে।
২০০৮ সালের মে মাসে বার্মার উপকূলে আঘাত হেনেছিল সাইক্লোন নার্গিস। সেই সাইক্লোনে অন্তত ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল এবং ২০ লাখ মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছিল।
একজন সাংবাদিক এই ঘূর্ণিঝড়ের বর্ণনা দিয়েছিলেন এভাবে- মনে হচ্ছে যেন কাগজের ওপর আঁকা একটি ছবির ওপর কেউ এক বালতি পানি ঢেলে দিয়েছে। অনেক যত্ন করে আঁকা লাইনগুলো (বদ্বীপের নদীপথ) মুছে গেছে। যে কাগজের ওপর ছবিটি আঁকা হয়েছিল সেটি যেন দুমড়ে-মুচড়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, ১৯৯৯ সালে ভারতে সর্বশেষ কোনো সুপার সাইক্লোন আঘাত হেনেছিল। তখন উড়িষ্যা রাজ্যে প্রায় দশ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। ঐ সাইক্লোনের পর আমি উপদ্রুত এলাকায় গিয়েছিলাম। ঘুরে বেরিয়েছিলাম সবচাইতে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো।
আমার মনে আছে, খাদের মধ্যে পড়ে ছিল পঁচা-গলা লাশ। নিহতদের শবদেহ যখন চিতায় পোড়ানো হচ্ছিল তখন। আকাশ যেন ঢেকে গিয়েছিল চিতার আগুনের ধোঁয়ায়। বঙ্গোপসাগরের সুপার সাইক্লোনের অবারিত ক্রোধ কতটা বিধ্বংসী হতে পারে, সেটা আমি তখন প্রথম বুঝতে পেরেছিলাম।
- আমাদের সব স্বপ্ন নষ্ট হয়ে যাবে বৃষ্টি না হলে
- অবৈধ কারখানার রাসায়নিক বর্জ্যে বিষাক্ত বুড়িগঙ্গা
- কিশোর গ্যাংয়ের চার সদস্য গ্রেফতার
- মাদক কেনা-বেচার অভিযোগে আটক ১৭
- বন্ধ থাকবে প্রাক-প্রাথমিক
- ছবির টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- শেষ বিসিএসটা দিতে পারলেন না ফাহাদ
- সৌদি দূতাবাসের তাঁবুতে আ*গু*ন
- আজ শেরেবাংলা এ কে ফজলুল হকের মৃত্যুবার্ষিকী
- ‘বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে দক্ষ শ্রমিক দিতে পারবে’
- কারাবন্দির মৃত্যু
- বৃষ্টির জন্য নামাজ আদায়
- জিআই সনদ পেল ১৪ পণ্য
- এক রাতে ৫ সেচ মেশিন চুরি
- মোদি ও রাহুলকে ইসির নোটিশ:আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ
- ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা আজ
- নারীসহ দালাল চক্রের ৫ সদস্য গ্রেপ্তার
- সাভারের রেডিও কলোনি পর্যন্ত মেট্রোরেল সংযোগ সম্প্রসারণের দাবি
- ‘ব্রাজিল থেকে জীবন্ত গরু আনার পরিকল্পনা’
- ইসরায়েলের সঙ্গে সীমান্তে উত্তেজনা
- কমান্ডার আরাফাত র্যাবের নতুন মুখপাত্র
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- ৩ দিনের ‘হিট অ্যালার্ট’ জারি
- হিট স্ট্রোকে এসএসসি পরীক্ষার্থীর মৃত্যু
- কারাগারে অসুস্থ হয়ে হাজতির মৃত্যু
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- গরমেও চলছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা!
- দায়ীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ
- দুই দিনে দুই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
- খাদে পড়ে ৬ শ্রমিক নিহত
- আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ২৮৮ বিজিপি-সেনাকে হস্তান্তর
- প্রাবোওকে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট ঘোষণা করল ইন্দোনেশিয়া
- একই গাড়ির চাপায় চালক ও সহকারীর মৃত্যু
- তৈফিক ইমরোজ খালিদীর বিরুদ্ধে দুদকের চার্জশিট
- স্ত্রীকে কু*পি*য়ে জ*খ*ম করল পাষণ্ড স্বামী
- বাংলাবান্ধা স্থলবন্দরে ৩ দিন আমদানি-রপ্তানি বন্ধ থাকবে
- ‘বাংলাদেশ যুক্তরাজ্যে দক্ষ শ্রমিক দিতে পারবে’
- ছবির টিকিটের সঙ্গে বিরিয়ানি ফ্রি
- ৪৬তম বিসিএস পরীক্ষা আজ
- জিআই সনদ পেল ১৪ পণ্য
- কারাভোগ শেষে ১৭৩ বাংলাদেশি কক্সবাজারে
- স্ত্রীকে কুপিয়ে হত্যা, স্বামী গ্রেফতার
- প্রধানমন্ত্রী ব্যাংকক পৌঁছেছেন
- বুধবার গ্যাস থাকবে না ১২ ঘণ্টা
- দেশে ফিরবেন সেই ২৩ নাবিক
- এক রাতে ৫ সেচ মেশিন চুরি
- দায়ীদের বিচার না হওয়ায় ক্ষোভ
- দুই দিনে দুই মাদরাসাছাত্র নিখোঁজ
- মোদি ও রাহুলকে ইসির নোটিশ:আচরণবিধি ভঙ্গের অভিযোগ
- এখনো শেষ হয়নি তিন মামলার বিচার