মরা বাড়িতে কান্না করাই তাদের পেশা!
মানিকগঞ্জ বার্তা
প্রকাশিত: ২৪ মে ২০২০

দুনিয়া জুড়ে কত শত অদ্ভুত পেশা রয়েছে তার কোন হিসাব নেই। তেমনি অদ্ভুত এক নতুন পেশার খবর পাওয়া গেছে, যা আমাদের কাছে নতুন হলেও এই প্রথা অনেক বছর ধরে চলে আসছে। এটি হল মরা বাড়িতে কান্না করার পেশা!
মারা যাওয়া কোন ব্যক্তির বাড়িতে গিয়ে কালো কাপড় পরিহিত একদল নারী কান্না করতে থাকেন। তারা বুক এবং মাটি চাপরে ফুঁপিয়ে কান্না করতে থাকেন। তাদের মোটামোটা চোখের পানিতে গালে দাগ পড়ে যায়, কিন্তু সেটি মুছে ফেলা নিয়ে তারা মোটেও চিন্তিত না। সবাই তাকিয়ে তাকিয়ে তাদের কান্নাকাটি দেখে। ভারতের এই পেশাদার সম্প্রদায় রুদালি নামে পরিচিত। এরা অর্থের বিনিময়ে বিলাপ করে থাকে।
জানা গেছে, কোথাও কেউ মারা গেলে বা মারা যাবে এমন সম্ভাবনা থাকলে আগে থেকে ভাড়া করে রাখা হতো তাদের। তাদের প্রধান কাজ মরা বাড়িতে গিয়ে মাতম করা, বুক চাপড়ে কাঁদা, গাল বেয়ে অশ্রুধারা গড়িয়ে পড়তে দেয়া। গোটা বাড়িতে শোকাবহ পরিবেশ তৈরি করতেই তো তাদের ভাড়া করে আনা! এই প্রথা চলেছে শত শত বছর, এখনো চলছে রাজস্থানের বিভিন্ন অজপাড়াগাঁয়ে।
‘রুদালি’দের বলা হয় ‘প্রফেশনাল মৌনার’ বা পেশাদার বিলাপকারী। বিলাপ করেই জীবিকা নির্বাহ করে তারা। পরনে থাকে কালো পোশাক। জানা গেছে, যমের পছন্দের রঙ নাকি কালো। তাই মৃত্যুদূতকে খুশি করতে তার পছন্দের সাজেই নিজেদের সজ্জিত করে তারা।
রুদালিদের সমাজের একেবারে নিচু জাত ভাবা হয়। বেশ কিছু সমাজে এদের বিয়ে করারও নিয়ম নেই। নিজের পরিবারের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়লে লোকের মৃত্যুতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাঁদবে কে? চেনা নেই, জানা নেই, রক্তের সম্পর্ক নেই; কেবল অর্থের বিনিময়ে মানুষের বাড়িতে গিয়ে আক্ষরিক অর্থে লোক দেখিয়ে কাঁদার জন্যই যেন জন্ম হয়েছে তাদের।
রুদালিদের এই পেশা আমাদের কাছে অর্থহীন মনে হতেই পারে, কিন্তু রাজস্থানের পশ্চাৎপদ কিছু জনগোষ্ঠীর কাছে এটিই স্বাভাবিক, নির্মম সত্য। তাদের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে আছে রুদালিদের অস্তিত্ব। সমাজের উচ্চশ্রেণীর নারীরা অর্থাৎ জমিদার বা ঠাকুর কন্যারা, বাড়ির বউরা বাইরের লোকের সামনে কাঁদবে বা নিজেদের আবেগ প্রকাশ করবে, সে আবার কেমন কথা?
কাজেই তারা হাবেলির অন্দরমহলে বন্দী থেকে, লম্বা ঘোমটার আড়ালে দু’ফোঁটা চোখের পানি ফেলুক আর না ফেলুক তাতে মৃত ব্যক্তির কিছু আসে যায় না। কিন্তু সমাজের সামনে নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি জাহির করতে গেলেও তো মরার সময় কান্নাকাটি করার জন্য কয়েকজন লোক লাগে। বড়লোকের সেই চাহিদা থেকে জন্ম নেয়া একটি সমাজের নাম ‘রুদালি’।
কলকাতার সাংবাদিক এবং লেখক নিধি দুগার কুন্দালিয়া তার ‘দ্য লস্ট জেনারেশন’ বইটিতে প্রায় বিলুপ্ত কিছু প্রথা বা পেশার কথা উল্লেখ করেছেন। অবধারিতভাবে সেখানে বাদ যায়নি রুদালিদের কথাও। তার লেখা বইয়ে রাজস্থানের এক তথাকথিত উঁচু শ্রেণীর একজনের একজনের সাক্ষাৎকারের কথা উল্লেখ করেন।
সেই সাক্ষাতকারে ওই ব্যক্তি বলেন, আমাদের রাজ পরিবারের কেউ মারা গেলে তো কান্নার জন্য লোক চাই, তা-ই না? নারীদের মস্তিষ্ক বিধাতা বানিয়েছেন এমন করে, যাতে তারা দুঃখ-কষ্টের অনুভূতিগুলো ভালো করে বুঝতে পারে। তাদের মন খুবই নরম। অন্দরমহলের মেয়েদের তো আমরা বাড়ির বাইরে বের হতে দিতে পারি না। পরপুরুষের সামনে গিয়ে তারা কাঁদলে আমাদের পরিবারের মাথা নিচু হয়ে যাবে। স্বামী মরুক আর বাবা মরুক, আগে তাদেরকে নিজেদের মর্যাদাটা বুঝতে হবে। কাজেই তাদের হয়ে কান্নার কাজটা করে দেয় নিচু জাতের মহিলারা, রুদালিরা।
নিজেদের ইচ্ছা-অনিচ্ছাকে বিসর্জন দিয়ে, আবেগ-অনুভূতিকে জলাঞ্জলি দিয়ে মানুষের চাহিদামতো চোখের পানি ঝরানো এই নারীদের সমাজে কিন্তু তেমন কোনো দাম নেই। অনেক সময়, অন্নদাতার জবরদস্তিতে অবৈধ সন্তানের জন্ম দিতে হয় তাদের। তাই হাবেলিতে প্রবেশ করা রুদালিদের দিকে বাঁকা চোখে তাকাতে কার্পণ্যবোধ করে না সে সমাজ। আর সেই সন্তান যদি হয় মেয়ে, তাহলে বন্ধ হয়ে যায় তাদের সামান্য আয়-রোজগারের পথটুকুও। কেননা রাজস্থানের মানুষের অন্ধবিশ্বাস অনুযায়ী, রুদালি পরিবার মেয়ে সন্তানের জন্ম দিলে সমাজের জন্য নাকি অভিশাপ বয়ে আনে।
রুদালিদের মধ্যে বেশ বিখ্যাত একটি প্রবচন প্রচলিত আছে- রুদালিদের কান্নায় পুরো গ্রাম বুঝতে পারে তাদের কত বড় ক্ষতি হয়ে গেছে। সবার দুঃখের প্রতিনিধিত্ব করতেই ডেকে আনা হয় রুদালিদের। ব্যক্তিগতভাবে কাউকে না চিনেও তার জন্য অঝোরে অশ্রু ঝরাচ্ছে- এই কঠিন কাজের বিনিময়ে তাদের যে অর্থ প্রদান করা হয়, তাকে নামমাত্র মূল্য বললেও কম বলা হবে। আজ থেকে ৩০ বছর পূর্বেও মরা বাড়িতে গিয়ে কাঁদার জন্য ৫-৬ রূপী করে পেত তারা।
কাঁদতে কাঁদতে মাটিতে গড়াগড়ি দেয়া, বুক চাপড়ানো, শ্মশান ঘাটে গিয়ে আছড়ে পড়া- এমনি যত কলাকৌশল সেই কান্নার সাথে যুক্ত হতো, ততই তাদের অর্থের পরিমাণ বেড়ে যেত। টাকার সঙ্গে পুরনো কাপড়, ভাত, রুটিও দিত কোনো কোনো দিলদার অন্নদাতা। তবে খাবারের মধ্যে কাঁচা পেঁয়াজ আর বাসী রুটিই বেশি দেয়া হতো তাদের।
কখনো কখনো রুদালিদের টানা ১২ দিনও কাঁদতে হয়। যত দীর্ঘদিনব্যাপী শোকের মাতম চলবে, ততই লোকজন ঐ পরিবারের আর্থিক সচ্ছলতা নিয়ে কানাঘুষা করবে। পারফরম্যান্স ভালো করতে তাই পেশাদার রুদালিরা নিজেদের জীবনের দুঃখ-কষ্টের কথা মনে করার চেষ্টা করে।
সবসময় কিন্তু চাইলেই চোখের পানি পড়ে না, তখন শুধু মুখের বিলাপই ভরসা। তবে যারা পুরোপুরি পেশাদার, তাদের নিজস্ব কিছু কৌশল আছে চোখে পানি আনার। কেউ কেউ থুতু লাগিয়ে মুখে পানির রেখা তৈরি করেন, কেউবা এক ধরনের গাছের শেকড় ব্যবহার করেন যা অনেকটা গ্লিসারিনের মতো কাজ করে। কাজলের মতো এক ধরনের কালিও পাওয়া যায়, যা চোখে লাগানোর সঙ্গে সঙ্গে তীব্র জ্বলুনি শুরু হয় আর চোখের পানি পড়তে থাকে।
নিষ্পেষিত এই সম্প্রদায়ের জীবনের কঠিন সত্য অবলম্বনে ‘রুদালি’ নামে বলিউডে সিনেমাও নির্মিত হয়েছে। ১৯৯৩ সালে নির্মিত ওই ছবিটির পরিচালনা করেন কল্পনা লাজমী। আর তাতে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডিম্পল কাপাডিয়া।
- কম ক্ষতিগ্রস্ত মুদ্রার তালিকায় বাংলাদেশ দ্বিতীয় স্থানে
- দেশের সিনেমা শিল্প ঘুরে দাঁড়িয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
- ঠিকাদার সাঈদ খুন: মৃত্যুদণ্ডের ৫ আসামি হাইকোর্টে খালাস
- কাশিমপুর কারা কমপ্লেক্সে ১০৭৫টি ইয়াবা বড়ি সহ নারী আটক
- ৫৩৮ বোতল ফেন্সিডিলসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক
- স্বামীর হাতেই খুন হন স্ত্রীসহ দুই সন্তান`
- জমি দখল করতে শিক্ষক ও পরিবারের নামে ২৬ মামলা
- ভুল অপারেশনে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ
- শিবালয়ে গৃহবধুকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় ৫ বছরের কারাদন্ড
- ফেসবুকে যমুনার দৃশ্য দেখে ঘুরতে আসা হাবিবের লাশ উদ্ধার
- গাজীপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন
- খুলনায় দুই জেএমবি নেতার ২০ বছরের কারাদণ্ড
- দেশের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দামে স্বর্ণ
- রাজধানীতে গ্রেফতার ৮৩
- বিএনপি সন্ত্রাসের মাধ্যমে রাষ্ট্রক্ষমতায় যেতে চায় : ওবায়দুল কাদের
- দেশের সব বন্দরে মাঙ্কিপক্স নিয়ে সতর্কতা জারি
- বেনাপোল দিয়ে দেশে ফিরলেন ভারতে পাচার হওয়া পাঁচ নারী
- অবকাঠামোর সাথেই শিল্পায়ন
- ‘শেখ হাসিনা দেশে ফিরেছিলেন বলেই বাংলাদেশ আজ শান্তির জনপদ’
- শ্রীলঙ্কা ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মডেল’ অনুসরণ করতে পারে
- সিঙ্গাইরে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন
- ফেরিতে জুয়ার আসর, গ্রেফতার ৪
- টাঙ্গাইলে ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম শুরু
- ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে আতঙ্কের নাম সেলফি পরিবহন
- ২৪ ঘণ্টায় যমুনার পানি বেড়েছে ৩৪ সেন্টিমিটার, বন্যার আশঙ্কা
- সন্ধান মেলেনি যমুনায় নিখোঁজ নাসা গ্রুপের জিএম হাবিবের
- পাটুরিয়ায় একটি ঘাট পানির নিচে, দুর্ভোগ চরমে
- মির্জাপুর দলিল লেখক সমিতির সভাপতি জহিরুল, সম্পাদক নুরুল
- সেই এসআই হেলাল উদ্দিনকে পুরস্কৃত
- গাঁজাসহ নারী মাদকবিক্রেতাকে পুলিশে দিলেন চেয়ারম্যান
- হত্যার আগে স্ত্রীর কপালে চুমু দিয়ে মাফ চেয়ে নেন রুবেল
- আশুলিয়ায় কুকুরের মাংস দিয়ে কাচ্চি!
- সাভারবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানালেন মঞ্জুরুল আলম রাজীব
- নির্বাচন প্রক্রিয়া কলুষিত করেছে বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী
- কক্সবাজারকে পর্যটন নগরী হিসেবে গড়ে তোলা অপরিহার্য
- বাংলাদেশের অর্থনীতি শ্রীলঙ্কার চেয়ে এগিয়ে
- স্তনে ট্যাটু, কটাক্ষের শিকার নুসরাত
- সেনাবাহিনীর পতিত জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে: সেনাপ্রধান
- ফিনফিনে প্যান্টের ভিতর স্পষ্ট মালইকার অন্তর্বাস
- ধর্ম ব্যবসায়ীদের প্রতি জিরো টলারেন্স দেখাতে হবে: সজীব ওয়াজেদ জয়
- শেখ হাসিনার ঐতিহাসিক স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- আমার শরীর বিক্রি করেই বড়লোক হয়েছে: পূজা
- ঈদের রাত থেকে যেসব এলাকায় থাকবে না গ্যাস
- শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস আজ
- সাভার শিল্পাঞ্চলে হঠাৎ পানিতে ডুবেছে ধান
- কারা ফটকের সামনে থেকে ইয়াবাসহ বিদেশফেরত নারী আটক
- বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা আকাশপাতাল
- ডিভোর্স হবে জেনেও বিয়ে করেছিলেন মধুমিতা!
- কনডম বিক্রি করতে গিয়ে অশ্লীল আক্রমণের শিকার নায়িকা
- সাভারের মহাসড়কে তীব্র যানজটের শঙ্কা