• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ক্ষতিপূরণের টাকায় ভাগ বসালেন নেতা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০১৯  

মানিকগঞ্জের ঘিওরে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া শিশুর বাবাকে দেয়া ক্ষতিপূরণের টাকায় স্থানীয় এক নেতা ভাগ বসিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

ভুক্তভোগী পরিবারটির কাছ থেকে স্থানীয় ওই নেতা জোরপূর্বক টাকা আদায় করায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে। বিক্ষুব্ধ এলাকাসী স্থানীয় ওই নেতার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।

গত ২ এপ্রিল আম কুড়াতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মো. রাফি নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়। সে উপজেলার ালিয়াখোড়া ইউপির বন্যা প্রসাদ গ্রামের আয়নাল হকের ছেলে। রাফি স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে প্রতিবেশী বাদল সাহার পরিত্যক্ত ভিটে বাড়িতে আম কুড়াতে যায়। আম কুড়ানো শেষে বাড়ি ফেরার সময় ঝড়ে ছিড়ে পড়া বিদ্যুতের তার সরাতে গেলে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই রাফির মৃত্যু হয়।

বিদ্যুৎ অফিসের গাফলতিতে শিশুটির মৃত্য হয় বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। এঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠলে পল্লীবিদ্যুকর্তৃপক্ষ এলাকাবাসীর সমঝোতার মাধ্যমে শিশুর বাবাকে মানবতার দৃষ্টি কোন থেকে ক্ষতিপূরণ বাবদ ১ লাখ টাকা প্রদান করে। শিশুটির জানাজার সময় প্রথমে পল্লীবিদ্যুৎ অফিস কর্তৃপক্ষ শিশুটির বাবার কাছে ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে।

পরে বাকী ৫০ হাজার টাকা গত ৪ এপ্রিল শিশুটির বাবা আয়নাল হককে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসে ডেকে নিয়ে পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ডিজিএম সমিতির সভাপতি জহিরুলের কাছ থেকে টাকা নিয়ে আসে। শিশুরটির বাবাকে টাকাসহ মোটরসাইকেল যোগে নিয়ে আসে স্থানীয় নেতা এম লতিফসহ তার সহযোগী আনিছুর রহমান বাবুল, স্বপন,রাসেল। পথিমধ্যে তারা শিশুর বাবার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ পাইয়ে দেওয়া বাবদ বিভিন্ন অজুহাতে খরচ দেখিয়ে ও ভয়ভীতি দেখিয়ে জোরপূর্বক ৪০ হাজার টাকা নিয়ে নেয়। এ ঘটনায় এলাকাবাসী বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এলাকাবাসী প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ট বিচারের দাবি জানিয়েছেন।

 

 

 

এম এ লতিফ ও আনিছুর রহমান বাবুল বলেন, এ অভিযোগ বানোয়াট। আমি মৃত শিশু ছেলের বাবার কাছ থেকে কোনো টাকা নেইনি। আমি এখন ঢাকায় আছি এসে আপনার সঙ্গে কথা বলবো।

মানিকগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. ওবায়দুর রহমান বলেন, গত ২ এপ্রিল জোকা এলাকার বৈন্যা প্রসাদ গ্রামে বিদ্যুস্পৃষ্টে রাফি নামে একটি শিশুর মৃত্যু হয়। এটা একটা দুর্ঘটনা। জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট গোলাম মহীউদ্দিন সাহেব আমাকে ফোন করে বলেন ছেলেটির বাবা গরীব মানুষ তাকে আপনাদের পক্ষ থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা যায় কিনা একটু দেখুন। পরে আমাদের অফিসের সবার কাছ থেকে কিছু কিছু করে টাকা উঠিয়ে ডিজিএমকে দায়িত্ব দিয়ে ভুক্তভোগী ওই পরিবারটির কাছে ১ লাখ টাকা পৌঁছে দিতে বলি।

থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম জানান, বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে শিশু মৃত্যুর ঘটনাটি শুনেছি । তবে ক্ষতিপূরণ পাওয়া এবং সে টাকা স্থানীয় কোনো নেতাকর্মীর আত্মসাৎ করার কোনো অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।