• সোমবার ১৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৯ ১৪৩১

  • || ০৪ জ্বিলকদ ১৪৪৫

পদ্মায় মিলল মাদ্রাসাছাত্রের লাশ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০২৪  

“তিন দিন আগে নাঈমকে মাদ্রাসায় দিয়েছি। তিন দিনে লাশ হলো আমার নাতি। সে নিখোঁজ হয়েছে এটা কেন জানালো না মাদ্রাসার শিক্ষকরা?” মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলায় পদ্মায় থেকে দশ বছর বয়সি এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। রোববার সকালে উপজেলার আন্ধারমানিক ট্রলার ঘাটে মরদেহটি পাওয়া যায় বলে হরিরামপুর থানা ওসি শাহ নুর এ আলম জানিয়েছেন। 

নিহত মো. নাঈম সিংগাইর উপজেলার খাসেরচর এলাকার মৃত এলাহির ছেলে। তার বাবা মারা যাওয়ায় পর মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার চর বালিরটেক এলাকায় নানির বাড়ি থাকত সে। পুলিশ জানায়, নাঈম আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার মক্তব বিভাগের প্রথম শ্রেণির ছাত্র ছিল। নাঈমের মামা আল আমিন জানান, তিনদিন আগে নাঈমকে মাদ্রাসায় রেখে গেছেন তিনি। দুই দিন পরে নিখোঁজ হলেও মাদ্রাসা শিক্ষকরা তাদের কিছুই জানায়নি। তার এক আত্মীয়ের ছেলে একই মাদ্রাসাছাত্র ছিল। সে সকালে তাদের জানিয়েছে, নাঈমের লাশ পদ্মায় ভাসছে। 

পরে তারা পদ্মার পারে আসেন। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি। নাঈমের নানি রোকেয়া বেগম বলেন, “তিন বছর আগে নাঈমের বাবা মারা গেছেন। ৯-১০ মাস আগে নাঈমের মায়ের হরিরামপুরের সট্টিতে আরেকটি বিয়ে দেয়া হয়েছে। এরপর থেকে নাঈম আমার কাছে থাকত। পড়াশোনায় মনোযোগ কম থাকায় তিন দিন আগে নাঈমকে মাদ্রাসায় দিয়েছি। তিন দিনে লাশ হলো আমার নাতি। সে নিখোঁজ হয়েছে এটা কেন জানালো না মাদ্রাসার শিক্ষকরা?।” 

আন্ধারমানিক ইসলামিয়া হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার শিক্ষক মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, “গতকাল রাতে কয়েকজন ছাত্র জানিয়েছে, একজন ছাত্রকে তার নানি এসে নিয়ে গেছে। তাই মনে করেছিলাম, নাঈমকে তার নানি নিয়ে গেছে। পরে জানতে পারি, অন্য এক ছাত্রকে তার নানি নিয়ে গেছে। তবে নাঈম পদ্মায় গোসলে গিয়ে নিখোঁজ হয়।”   

পরিবার বা থানায় কেন জানালেন না এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “আমাদের ভুল হয়েছে। তবে তার নানির মোবাইলে ফোন দিয়ে বন্ধ পেয়েছি।”  ওসি শাহ নুর এ আলম বলেন, মাদ্রাসাছাত্র নিখোঁজের বিষয়ে মাদ্রাসা থেকে লিখিত বা মৌখিক ভাবে তাদের জানানো হয়নি। সকালে স্থানীয়রা নদীতে ভাসমান মরদেহ দেখে ফরিদপুর নৌ থানা পুলিশকে জানান। এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানান তিনি।