• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

কাঁচামরিচ রফতানি হচ্ছে বিদেশে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯  

মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচ নিজ জেলা ও রাজধানীর আশপাশের চাহিদা মিটিয়ে দেশের বাইরে  রফতানি হচ্ছে। বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে মানিকগঞ্জের কাঁচামরিচের বেশ চাহিদা রয়েছে। মানিকগঞ্জ থেকে প্রতিদিন কয়েক টন কাঁচামরিচ রফতানি হচ্ছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে। এতে ভালো দাম পাচ্ছেন কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে মরিচচাষিরা গতবারের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবেন।

কাঁচামরিচ চাষে বিখ্যাত জেলা মানিকগঞ্জ। জেলার প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই মরিচের চাষাবাদ হয়। তবে ঘিওর, দৌলতপুর, শিবালয় ও হরিরামপুর উপজেলায় মরিচের আবাদ হয় সবচেয়ে বেশি। অনুকূল আবহাওয়া আর উত্তম পরিচর্যায় মরিচের ফলনও হয় ভালো। তবে উপযুক্ত বাজারদর না থাকায় মরিচ চাষে আগ্রহ কমছে চাষিদের। গত মৌসুমে জেলার প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার হেক্টর জমিতে মরিচের আবাদ হয়েছিল। সেখানে চলতি মৌসুমে আবাদ হয়েছে মাত্র সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমিতে।

মানিকগঞ্জের বরংগাইল হাটে সরেজমিন দেখা যায়, মরিচচাষিরা শত শত মণ কাঁচামরিচ নিয়ে বসে আছেন।

পাইকাররা প্রতিদিনই এখান থেকে মরিচ ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন ঢাকার কারওয়ান বাজার, বখশিবাজার, সাভার, আশুলিয়া, জিরাব, গাজীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলায়।

মানিকগঞ্জের বরংগাইল হাটে ৩০ জন আড়তদার রয়েছে। এর মধ্যে তাজউদ্দিন, জহিরুল হক, মোফাজ্জল হোসেন ও শফি মিয়ার আড়ত থেকে দেশের বাইরে মরিচ রফতানি হচ্ছে।

 এখান থেকে মালয়েশিয়া, কুয়েত, রিয়াদ, দুবাই, সিঙ্গাপুর, কাতার, সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কাঁচামরিচ রফতানি হচ্ছে। আড়তদার তাজউদ্দিন জানান, প্রতিদিন গড়ে বরংগাইল হাট থেকে ২০ টন কাঁচামরিচ বিদেশে রফতানি হচ্ছে। গতবার যে মরিচ তারা এই সময় গড়ে ১২ টাকা কেজি দরে ক্রয় করেছিলেন, এবার সেই মরিচ ক্রয় করতে হচ্ছে গড়ে ৩৫ টাকা কেজি দরে। যারা দেশের বাইরে রফতানি করেন, তাদের কাছে প্রতি কেজি মরিচ বিক্রি করা হয় ক্রয়মূল্যের চেয়ে এক টাকা বেশি দামে। তার আড়তে প্রতিদিন ১১ জন শ্রমিক রফতানির জন্য মরিচগুলো বাছাই করে ওজন থেকে শুরু করে প্যাকেটজাত করেন।

ঘিওর উপজেলার গাংডুবী গ্রামের মরিচচাষি রহিম শেখ জানান, গত বছর মরিচের বাম্পার ফলন হওয়ায় পানির দরে বিক্রি করতে হয়েছে। এ বছর প্রচণ্ড তাপদাহের কারণে ফলন ভালো হয়নি ঠিকই, তবে বাজারে ভালো দাম পাচ্ছি। শিবালয় উপজেলার শাকরাই গ্রামের কৃষক জিয়াউদ্দিন জানান, তিনি ৪০ শতাংশ জমিতে মরিচ চাষ করেছেন। ১৫ টাকা কেজি থেকে বিক্রি শুরু করেছেন। এখন ৩৫ টাকা দরে বিক্রি করছেন।

বরংগাইল হাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিক মোল্লা জানান, প্রতিদিন প্রায় দুই হাজার টন মরিচের আমদানি হয় এই হাটে। পরে এখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী দেশ ও দেশের বাইরের বিভিন্ন জায়গায় চলে যায় এ মরিচ।

মানিকগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক হাবিবুর রহমান চৌধুরী জানান, অতি তাপদাহের কারনে এ বছর মরিচের ফলন কম হয়েছে। এর পরও এখান থেকে দেশের বাইরে রফতানি হচ্ছে কাঁচামরিচ।