• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

ধানের চেয়ে শ্রমিকের দাম বেশি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৬ মে ২০১৯  

শিবালয়ে এবার বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে এক সপ্তাহ ধরে বোরো ধান কাটা শুরু হয়েছে কিন্তু ধানের চেয়ে ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন হাটে এক মণ ধান বিক্রি করে একজন ধান কাটা শ্রমিকের মজুরি হচ্ছে না এ কারণে কৃষক তাদের পাকা ধান ঘরে তুলতে পারছেন না

উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষকের বোরো ক্ষেত ঘুরে দেখা গেছে, ধানের চেয়ে শ্রমিকের মজুরি বেশি হওয়ায় ও শ্রমিক সংকটের কারণে শত শত একর জমির পাকা ধান কাটার অপেক্ষায় পড়ে রয়েছে গত বৃহস্পতি ও  শুক্রবার উপজেলার  বিভিন্ন হাট ঘুরে দেখা গেছে, এক মণ বোরো ধান বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় উপজেলার জাফরগঞ্জ এলাকার কৃষক জালাল উদ্দিন জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে বোরো চাষ করেছেন এর মধ্যে দুই বিঘার ধান কেটে প্রজেক্টের ভাগ দিয়ে পেয়েছেন মাত্র ২৪ মণ জমিতে ধানের চারা রোপণ করা থেকে শুরু করে সার ও ওষুধের পর শ্রমিক দিয়ে কেটে প্রতি মণে খরচ হচ্ছে ৮০০ টাকার উপরে কিন্তু হাট-বাজারে বিক্রি করতে হচ্ছে ৬৫০ থেকে ৭০০ টাকায় ধান ক্রয়ের মহাজনরা জিম্মি করে তাদের কাছ থেকে কম দামে ধান ক্রয় করছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি

উপজেলার তেওতা এলাকার কৃষক ফরিদ উদ্দিন জানান, গত বছর চার বিঘা জমিতে বোরো ধান করেছিলেন দাম কম হওয়ায় এবার দুই বিঘা জমিতে করেছেন শ্রমিক সংকটের কারণে এখনও ধান কাটতে পারেননি তিনি

উপজেলার নালী এলাকার কৃষক মনির হোসেন জানান, তিনি এবার ৭ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন প্রায় সব জমির ধানই পেকে গেছে শ্রমিক সংকটের কারণে বাড়িতে আনতে পারছেন না কয়েক দিন ধরে শ্রমিক আনতে আরিচা ঘাটে শ্রম বিক্রির হাটে ঘুরছেন কিন্তু অতিরিক্ত দামের কারণে আনতে পারেননি একজন শ্রমিককে প্রতিদিন তিন বেলা খাবার দিয়ে ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা দিতে হয় এরকম দামে শ্রমিক আনলে ধান কেটে বাড়ি এনে মাড়াই করে লাভ হবে না

 

উপজেলার আরিচা ঘাটের হাটে গিয়ে শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, গরমের মধ্যে ফসলি মাঠে কাজ করা কষ্টকর এ কারণে ৭০০-৮০০ টাকা ছাড়া ধান কাটার কাজ করা সম্ভব নয়

উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা শাহ মো. হেদায়েতুল্লাহ জানান, এখনও সরকারিভাবে ধান ক্রয় শুরু হয়নি এবার সরকারিভাবে প্রতি মণ ধান এক হাজার ৪০ টাকা দরে ক্রয় করা হবে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কৃষি কর্মকর্তা এসএম ফয়েজ উদ্দিন জানান, ছয় হাজার ১৯৬ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ করা হয়েছে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে ছয় হাজার ১২৪ হেক্টর গত বছরের চেয়ে ৭২ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ কম হয়েছে উপজেলার যে কৃষক ধান বিক্রি করতে ইচ্ছুক তাদের ২১টি ব্লক থেকে ৩১১ জনের নামের তালিকা উপজেলা খাদ্য অফিসে পাঠানো হয়েছে