• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় ক্ষতবিক্ষত ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়ক

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯  

গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় নরম হয়ে পড়েছিল কার্পেটিং সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় এবং রপ্তানিমুখী পণ্যবাহী যানবাহনের চাপ হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে ক্ষতবিক্ষত হতে থাকে মহাসড়ক এক পর্যায়ে স্থানে স্থানে সৃষ্টি হতে থাকে ছোট-বড় গর্তের গর্তে যানবাহন আটকে এবং জলাবদ্ধতায় কমতে থাকে গাড়ির গতি সৃষ্টি হতে থাকে যানজট আটকা পড়ে অফিস ও স্কুল-কলেজগামী যাত্রীরা গতকাল রবিবার ভোগান্তি ও সড়কের এমন বেহাল দশার চিত্র ছিল ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুরে

মহানগর ট্রাফিক পুলিশ বিভাগ, পরিবহন শ্রমিক, যাত্রী ও স্থানীয়রা জানায়, বৃষ্টির পানিতে কয়েকটি স্থানে সড়ক তলিয়ে যাওয়ায় এবং বড় বড় খানাখন্দের সৃষ্টি হওয়ায় রবিবার ভোর থেকে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয় পরে তা গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা থেকে রাজধানীর বিমানবন্দর পর্যন্ত প্রায় ২১ কিলোমিটার দীর্ঘ হয় চান্দনা চৌরাস্তা থেকে আবদুল্লাহপুর এক ঘণ্টা পথ যেতে লেগেছে পাঁচ-সাত ঘণ্টা

সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, পুরো সড়কেরই কার্পেটিং উঠে বেহাল দশা সড়কজুড়ে অসংখ্য ছোট-বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে কিছু কিছু গর্ত হাঁটু সমান গভীর অনেক স্থানে পানি জমে আছে এসব গর্ত ও পানির কারণে ধীরগতিতে চলতে গিয়ে গাড়ি আটকে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে গাজীপুর-ঢাকা রুটের বলাকা পরিবহনের যাত্রী, জয়দেবপুর শহরের বাসিন্দা আবদুল হাই বলেন, তিনি মহাখালী যাওয়ার জন্য সকাল ৬টায় গাজীপুর থেকে বাসে ওঠেন কিন্তু টঙ্গী যেতেই তার সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা লেগে গেছে সড়কের দুই পাশে ড্রেনের জন্য গর্ত করা হয়েছে দেড়-দুই বছর ধরে খোঁড়াখুঁড়ি তো রয়েছেই

পরিবহন শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক দিনের বৃষ্টি ও জলাবদ্ধতায় মহাসড়কের কার্পেটিং ভিজে নরম হয়ে ফুলে গিয়েছিল রবিবার ভোরে ভারি বর্ষণ শুরু হলে ভোগড়া চৌরাস্তা, বাসন, মালেকের বাড়ি, সাইনবোর্ড, হোসেন মার্কেট, স্টেশন রোড এক-দুই ফুট পানিতে তলিয়ে যায় এদিন ভোর থেকেই বাস, সাধারণ পণ্য ও গার্মেন্টের রপ্তানিমুখী গাড়ির চাপ অত্যধিক বাড়তে থাকে অতিরিক্ত গাড়ির চাপে সড়কের অনেক স্থানের কার্পেটিং উঠে গিয়ে গর্তের সৃষ্টি হয় বিশেষ করে সাইনবোর্ড ও হোসেন মার্কেট এলাকায় বড় বড় গর্ত তৈরি হয় সকাল ৮টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকায় পানিতে তলিয়ে থাকা গর্তে পর পর তিনটি পণ্যবাহী গাড়ি উল্টে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে ময়মনসিংহমুখী যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায় ওই প্রভাবে ঢাকামুখী সড়কেও দেখা দেয় যানজট পুলিশ সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উল্টে পড়া গাড়ি সরিয়ে নিলে থেমে থেমে উভয় লেনে যানবাহন চলাচল শুরু হয় কিন্তু তার আগে দুপুর পর্যন্ত যানজট দীর্ঘ হয় প্রায় ২১ কিলোমিটার সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়ে যাত্রীরা নারী শিশু ও বৃদ্ধদের ভোগান্তি ছিল সবচেয়ে বেশি ট্রাফিক পুলিশকে কখনো বৃষ্টিতে, কখনো পানিতে ভিজে মহাসড়ক সচল রাখার চেষ্টা করতে দেখা গেলেও মহাসড়কে দেখা মেলেনি বিআরটি প্রকল্পের কর্মকর্তাদের

গাজীপুর মহানগর ট্রাফিক পুলিশের (দক্ষিণ) সিনিয়র সহকারী কমিশনার থোয়াই অংপ্রু মারমা বলেন, ‘বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতায় পুরো সড়ক নষ্ট হয়ে গেছে ওখানে রবিবার হাঁটু সমান গর্তের সৃষ্টি হয় গর্তে যানবাহন উল্টে গেলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায় বিকেল ৩টার দিকে পানি সরে গেলে বিআরটি প্রকল্পের মাধ্যমে ইট-পাথর এনে গর্ত ভরাট করা হয় তারপর থেকে পরিস্থিতি কিছুটা উন্নতি হয় বিকেল ৪টা থেকে ধীরে ধীরে যানবাহন চলছিল আমরা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে সব ধরনের চেষ্টা করছি