• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জনপ্রিয়তা কমেছে নেতানিয়াহুর

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৩  

ইসরায়েলি গবেষণা প্রতিষ্ঠান পরিচালিত একটি জরিপ ইঙ্গিত দিচ্ছে, গত সপ্তাহান্তে ইসরায়েলে হামাসের বিধ্বংসী হামলার পর থেকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর জনপ্রিয়তা হ্রাস পেয়েছে।অন্যদিকে জনপ্রিয়তা বেড়েছে সাবেক জেনারেল বেনি গ্যান্টজের, যিনি দেশটির ‘যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভার’ একজন সদস্য। ইসরায়েলের মারিভ সংবাদপত্রে শুক্রবার প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

প্যানেল ফর অলের অংশীদারিত্বে লাজার রিসার্চ এই জরিপটি পরিচালনা করেছে।


জরিপে দেখা গেছে, ইসরায়েলে যদি এ মুহূর্তে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলে নেতানিয়াহুর জোটের বিরুদ্ধে বিরোধী দলগুলো নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। 

জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৬০০ জনের মধ্যে ৪৮ শতাংশ বলেছেন, গ্যান্টজ হবেন তাদের পছন্দের প্রধানমন্ত্রী। 

নেতানিয়াহুকে বেছে নিয়েছেন ২৯ শতাংশ মানুষ।
জরিপ অনুসারে, গ্যান্টজের জাতীয় ঐক্য পার্টি (এনইউপি) নেসেটে (সংসদ) সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন লাভ করবে।


দলটি ৪১টি আসন পেতে পারে, যেখানে নেতানিয়াহুর লিকুদ পার্টি ১৯টি আসন নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে থাকবে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইয়ার ল্যাপিডের নেতৃত্বাধীন ইয়েশ আতিদের ১৫টি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।


এ ছাড়া মাত্র এক মাস আগে একটি জরিপে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, এনইউপি ২৯টি এবং লিকুদ ২৬টি আসন পাবে।

৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর শিশু, বেসামরিক ও সেনাসহ প্রায় এক হাজার ৩০০ ইসরায়েলি নিহত হয়।

এটি জাতিটির মূলে নাড়া দিয়েছে। ইসরায়েলও গাজায় প্রতিশোধমূলক হামলা চালাচ্ছে। হামলায় এখন পর্যন্ত দুই হাজার ২০০ এরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।

এদিকে নেতানিয়াহু বুধবার নিজেকে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও গ্যান্টজকে নিয়ে তিন সদস্যের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছেন। এ ছাড়া সংঘাত যত দিন চলবে তত দিন পর্যন্ত কোনো বড় আইন পরিবর্তন বা সরকারি সিদ্ধান্ত হবে না, যা যুদ্ধের সঙ্গে সম্পর্কিত নয়।

যদিও ইরান সমর্থিত হামাসের বিরুদ্ধে ইসরায়েল যুদ্ধ করা অবস্থায় নেতানিয়াহুর অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ করার সম্ভাবনা নেই। তবে সাম্প্রতিক জরিপটি স্পষ্ট করে, কিভাবে কিছু ইসরায়েলি নেতানিয়াহুর ওপর তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছেন।

নেতানিয়াহু হলেন ইসরায়েলের সবচেয়ে দীর্ঘমেয়াদি নেতা। তিনি ২০২২ সালের শেষের দিকে পুনঃনির্বাচনে জিতেছেন। তার বর্তমান জোট ইসরায়েলের ইতিহাসে সবচেয়ে ডানপন্থী। বিচারকদের ক্ষমতাকে দুর্বল করতে তাদের প্রচেষ্টা চলতি বছর ব্যাপক বিক্ষোভের সূত্রপাত করেছে, ইসরায়েলি মুদ্রা শেকেলকে আঘাত করেছে এবং দেশটির প্রযুক্তি বিনিয়োগকে নিমজ্জিত করেছে।

কিছু ইসরায়েলি নেতানিয়াহুর অবস্থানকে গোল্ডা মিরের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যিনি ১৯৭৩ সালের ইয়োম কিপপুর যুদ্ধের প্রায় ছয় মাস পর প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন।  সেই যুদ্ধে সিরিয়া ও মিসর ইসরায়েলের ওপর আক্রমণ শুরু করেছিল। উল্লেখ্য, জরিপটিতে চার শতাংশ পর্যন্ত ত্রুটি থাকতে পারে।