• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৮ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ অক্টোবর ২০২৩  

ইলিশ মাছের প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষার্থে ২২ দিন ইলিশ ধরার নিষেধাজ্ঞার কারণে বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ হয়ে গেছে। গত মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকেই এ নিষেধাজ্ঞা শুরু হওয়ায় বুধবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সর্বশেষ ২১ মেট্রিক টন ৮০০ কেজি ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে। তার পর থেকে ভারতেও ইলিশ রপ্তানি বন্ধ রয়েছে।

এদিকে সময়স্বল্পতা আর সংকটের কারণে এ বছরও সরকার অনুমোদিত সব ইলিশ রপ্তানি সম্ভব হচ্ছে না। এ বছর সরকার অনুমোদিত তিন হাজার ৯৫০ টনের মধ্যে ১১ দিনে মাত্র ৬৩১ মেট্রিক টন ২৪০ কেজি ইলিশ রপ্তানি হয়েছে ভারতে। বাকি ইলিশ রপ্তানিতে সময় বৃদ্ধির প্রয়োজন বলছেন ব্যবসায়ীরা।

রপ্তানিকারক সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, দেশের চাহিদার বিপরীতে ইলিশ আহরণ কমে যাওয়ায় সরকার দেশের বাইরে ইলিশ রপ্তানি বন্ধ করেছে। তবে দুর্গাপূজা উপলক্ষে সরকার প্রতিবছর নির্দিষ্ট পরিমাণে ইলিশ শুধু ভারতে রপ্তানি করে আসছে।

বাংলাদেশ থেকে আসা ইলিশ পূজায় অতিথি আপ্যায়নের ভরসায় থাকে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা। এ বছর দেশের ৭৯টি ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানকে ৩০ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে তিন হাজার ৯৫০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দেয় সরকার। গত ২১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় ইলিশ রপ্তানি। এ পর্যন্ত ২৯টি প্রতিষ্ঠান মাত্র ৬৩১ মেট্রিক টন ২৪০ কেজি ইলিশ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে রপ্তানি করতে পেরেছে।

এদিকে ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন ইলিশ প্রজনন মৌসুম শুরু হওয়ায় ইলিশ ধরা ও বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকায় রপ্তানি বন্ধের কবলে পড়েছে। এতে নির্দিষ্ট পরিমাণ ইলিশ রপ্তানিতে প্রতিবন্ধকতা এসেছে। রপ্তানিকারকরা বাকি ইলিশ পাঠাতে সময় বৃদ্ধির আবেদন করবে বলে জানিয়েছেন। ইলিশ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান সততা ফিশের রেজাউল জানান, সময়স্বল্পতায় সব ইলিশ রপ্তানি সম্ভব হয়নি। সরকার যদি সময় বাড়ায় তবে বাকি ইলিশ রপ্তানি করা যাবে।

বেনাপোল মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের ফিশারিজ কোয়ারেন্টিন অফিসার মাহাবুবুর রহমান জানান, ইলিশ প্রজনন মৌসুমের কারণে ১২ অক্টোবর থেকে ২২ দিন ভারতে রপ্তানি বন্ধ থাকবে। এতে করে এ বছর সব ইলিশ রপ্তানি করা হচ্ছে না ভারতে। গেল বছর ইলিশ রপ্তানির অনুমতি ছিল তিন হাজার মে. টন। সে সময়ও ইলিশ মাছ না পাওয়ায় ও মাছের দাম বৃদ্ধির কারণে মাত্র এক হাজার ৩০০ মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি হয়েছিল।