• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

নুসরাত হত্যা: অধ্যক্ষ সিরাজের যত অপকর্ম

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১১ এপ্রিল ২০১৯  

শ্লীলতাহানির মামলা করায় আলীম পরীক্ষার্থী নুসরাত জাহান রাফিকে পুড়িয়ে হত্যাচেষ্টার পর প্রকাশ্যে এসেছে ফেনীর সোনাগাজী ফাজিল মাদরাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার নানা অপকর্ম।

এর আগেও একাধিক ছাত্রীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ রয়েছে সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে। তার এসব কর্মের অন্যতম সহযোগী মাদরাসার পিওন, কয়েকজন ছাত্র ও মাদরাসা পরিচালনা কমিটির কতিপয় কর্মকর্তা।

কমিটির সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকায় অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে আগের সব অভিযোগ ধামাচাপা পড়ে যায়। এছাড়া মাদরাসায় প্রতিটি ক্ষেত্রে অনিয়ম, দুর্নীতিসহ নিজস্ব বাহিনী গড়ে তুলেছেন সিরাজ উদ- দৌলা। সোনাগাজী ও ফেনী থানায় তার বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি, প্রতারণা, নাশকতা ও চেক জালিয়াতির মামলা রয়েছে। চেক জালিয়াতির মামলায় ২০১৭ সালে কারাগারে যেতে হয় তাকে।

২০১৬ সালে নৈতিক স্খলন, তহবিল তছরুপসহ নানা অভিযোগে তাকে জামায়াতে ইসলামী থেকে বহিষ্কার করা হয়। তিনি জামায়াতের সাবেক রোকন।

সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সহ-সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, জাল কাগজপত্র বানিয়ে ১৯৯৯ সালে ভাইস প্রিন্সিপাল পদে নিয়োগ পান সিরাজ উদ-দৌলা। তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখায় অভিযোগও দিয়েছেন অভিভাবক কমিটির সদস্য আবদুল মান্নান। কিন্তু প্রভাবশালীদের সহায়তায় ওই যাত্রায় বেঁচে যান তিনি।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রুহুল আমিন বলেন, কোন অপরাধকে আমরা প্রশ্রয় দিই না। রাফিকে পুড়িয়ে হত্যার ন্যায়বিচার চাই। দোষী যে-ই হোক, তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হওয়া উচিত।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ আবদুল হালিম মামুন বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজ উদ-দৌলার বিরুদ্ধে ছাত্রীদের শ্লীলতাহানিসহ অসংখ্য অভিযোগ আমরা প্রশাসনকে জানিয়েছি। কিন্তু প্রভাবশালী একটি গ্রুপের সহায়তায় তিনি বারবার বেঁচে যান।

সোনাগাজী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোয়াজ্জেম হোসেন বলেন, অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন হয়রানি ও চেক জালিয়াতিসহ তিনটি মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তিনি দফায় দফায় কারাভোগ করেছেন।