• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলাদেশ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৭ এপ্রিল ২০১৯  

ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে নিরলস কাজ করে যাচ্ছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃত্বে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ হয়েছে বাংলাদেশ। মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে, মা ও শিশু মৃত্যুহার কমেছে। দারিদ্র্য বিমোচন, শিক্ষা ক্ষেত্রে ব্যাপক সাফল্য এসেছে।

২০০৮ সালে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর চালের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য তাদের ১৯৯৬ থেকে ২০০১ এর চলমান কার্যক্রমগুলো আরও জোরালোভাবে কার্যকর করার পাশাপাশি কিছু যুগান্তকারী পদক্ষেপ নেয়। সেগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটি হলো- চালের এবং অন্যান্য কৃষি পণ্যের উৎপাদন বাড়ানোর প্রক্রিয়ায় সুষম সার ব্যবহারে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য পটাশ ও ফসফটিক ফার্টিলাইজারের কেজিপ্রতি বিক্রির দাম যথাক্রমে ৬০ টাকা থেকে ১৫ টাকা এবং ৭২ টাকা থেকে ২২ টাকায় নামিয়ে আনা। এ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ সিদ্ধান্তের ফলে কৃষকরা ধানসহ অন্যান্য সব কৃষিপণ্য উৎপাদনে ইউরিয়া সারের পাশাপাশি পরিমিত পরিমাণ পটাশ ও ফসফটিক সারের ব্যবহারে ব্যাপকভাবে আগ্রহী হয়ে ওঠে।

এ বৈপ্লবিক সিদ্ধান্ত কার্যকর করার ফলেই ধানের এবং অন্যান্য ফসলের পাশাপাশি আলুর ফলনও উল্লেখযোগ্য মাত্রায় বেড়ে যায়।

ধানের উৎপাদন বৃদ্ধির সব কার্যক্রমকে সফলভাবে এগিয়ে নিতে কৃষকদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানে স্বচ্ছতার নিশ্চয়তা বিধানে প্রায় ১ কোটি ৪৩ লাখ কৃষককে উপকরণ সহায়তা কার্ড প্রদানও করা হয়েছে। এছাড়াও দেশের প্রায় এ কোটি কৃষকদের মাত্র ১০ টাকায় ব্যাংক একাউন্ট খোলার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার কৃষি খাতের সার্বিক উন্নয়নে উল্লেখিত সুযোগ সুবিধাসহ সব ধরণের প্রয়োজনীয় সহায়তা দেওয়ায় দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বাংলাদেশ ইতিমধ্যে চাল উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। এ বছর আমন ধানের উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও অন্তত কয়েক শতাংশ বেশি উৎপাদন সম্ভব হয়েছে। শুধু ধান নয়, গম, ভুট্টা, আলুসহ প্রায় প্রতিটি খাদ্যশস্য উৎপাদনেই রেকর্ড করছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশের ফল ও মাছ উৎপাদন বৃদ্ধির হার বিশ্বের অন্য যে কোনো দেশের চেয়ে বেশি। সবজির উৎপাদন বৃদ্ধির ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ অসামান্য কৃতিত্ব দেখিয়েছে। কৃষিবান্ধব নীতি প্রণয়ন ও সময়োপযোগী বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করায় দেশ খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে। বর্তমানে একই জমিতে বছরে একাধিক ফসল চাষের দিক থেকেও বিশ্বে পথিকৃৎ বলে বিবেচিত হচ্ছে বাংলাদেশ। জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের সাফল্যকে বিশ্বের জন্য উদাহরণ হিসেবে প্রচার করছে। চাল উৎপাদন বৃদ্ধি পাওয়ায় বাংলাদেশ রপ্তানিকারক দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেছে আরো কয়েকবছর আগে। কৃষিতে ক্ষমতাসীন সরকারের বিজ্ঞানভিত্তিক নানা পদক্ষেপের কারণেই খাদ্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণতার পথে পা রাখতে সক্ষম হয়েছে বাংলাদেশ।