• রোববার ১৯ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৫

বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৫ মে ২০২৪  

মানিকগঞ্জে ভূমিখেকোদের তাণ্ডবে একের পর এক বিলীন হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। উর্বর মাটির কৃষি জমিতে খাদ্যশস্যের ভালো ফলন হলেও এসব জমি এখন ডোবা-নালায় পরিণত হচ্ছে। এতে খাদ্য-শস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রকৃতিও ভারসাম্য হারাচ্ছে। এসব মাটি পরিবহনে দশ চাকার ভারী ড্রাম-ট্রাক চলাচল করায় ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে সড়ক-মহাসড়ক ও ব্রিজ-কালভার্ট।

জানা গেছে, শিবালয় উপজেলার শিমুলিয়া ইউনিয়নের, শিমুলিয়া, তাড়াইল ও মোনাইল চকে বিরামহীন মাটি বাণিজ্য করে আসছে প্রভাবশালী মাটি খেকো একটি চক্র। শীতের শুরু থেকে গ্রীষ্মের এই সময় পর্যন্ত একটানা মাটি বাণিজ্য করে আসছে চক্রটি। রাজনৈতিক নেতা, ডাক্তার, সাংবাদিকসহ প্রশাসনের বিপথগামী অনেকেই এ চক্রের সাথে জড়িত আছে বলে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হয়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, শিমুলিয়া, তাড়াইল ও মোনাইল চকের অন্তত ৫টি স্পটে আট থেকে দশটি এক্সকেভেটর (ভেকু) দিয়ে মাটি কাটা হচ্ছে। ফসলি জমির উর্বর মাটি স্টোন ব্রিকসসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করা হচ্ছে।

মাটি পরিবহনে মরিচ, ধান, ভুট্টা, বাঙ্গি ও তিল ক্ষেতের মাঝখান দিয়ে রাস্তা বানানো হয়েছে। এতে ওইসব ফসলি জমিসহ পার্শ্ববর্তী জমিতে আবাদ করা ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। চক্রটি প্রভাবশালী হওয়ায় স্থানীয়রা ভয়ে প্রতিবাদের সাহস পাচ্ছে না। সরকার দলীয় অঙ্গ সংগঠনের মাদক ব্যবসায়ী ও মাটিখেকো হিসেবে পরিচিত বিতর্কিত এক নেতা এসব নিয়ন্ত্রণ করেন বলে জানা গেছে। এসব অপকর্ম নির্বিঘ্নে চালিয়ে যেতে স্থানীয় সংসদ সদস্যের নাম ভাঙানো হচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীরা।

এ বিষয়ে শিমুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন (মানিক) বলেন, মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক প্রভাবশালী। তাদেরকে মাটিকাটা বন্ধ করতে নোটিশ করা হলেও সেটা আমলে নেয়নি। বাধ্য হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ইউএনও বরাবর লিখিত আবেদন করা হয়েছে। এ বিষয়ে শিবালয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, মাটিখেকো চক্রটির বিরুদ্ধে আজই নিয়মিত মামলা করা হবে।