• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

‘ভাই আমাকে ওরা গলাটিপে মেরে ফেলতেছে’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০১৯  

গোপালগঞ্জের মুকসুদপুরে মনিকা বাড়ৈকে নামে এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার পর আত্মহত্যা বলে প্রচারের অভিযোগ উঠেছে। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার ননীক্ষীর ইউপির মহিষতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ির পুলিশ খবর পেয়ে শনিবার সকালে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। 

এলাকাবাসী বলছেন, মুকসুদপুর উপজেলার ননিক্ষীর ইউপির মহিষতলী গ্রামের অনিল মণ্ডলের ছেলে সজল মণ্ডলের সঙ্গে একই উপজেলার বাটিকামারি ইউপির গুয়াবাহাড়া গ্রামের আনন্দ বাড়ৈর মেয়ে মনিকার সঙ্গে প্রায় চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই স্বামী সজলের পরকীয়ার জেরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলে আসছিল। এর ধারাবাহিকতায় শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার সময় মনিকাকে প্রথমে শ্বাসরোধে হত্যা চেষ্টা করা হয়। পরে তার মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে প্রচার চালানো হয়। মুমূর্ষ অবস্থায় মনিকাকে উদ্ধার করে রাজৈর হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নিহত মনিকার মা সুরোধনী বাড়ৈ জানান, আমার মেয়ে মনিকাকে তার স্বামী ও পরিবারের লোকজন শ্বাসরোধ করে হত্যা করে মুখে বিষ ঢেলে আত্মহত্যা বলে প্রচার করে। এছাড়া আমার ছেলে অনন্ত বাড়ৈকে মৃত্যুর কিছুক্ষণ পূর্বে মোবাইলে বলেছিল, ‘ভাই আমাকে ওরা গলাটিপে মেরে ফেলতেছে আমাকে বাঁচাও।’

সুরোধনী বাড়ৈ আরো জানান, আমি এ হত্যার বিচার চাই। এ ঘটনার পর স্বামী সজল ও তার পরিবারে লোকজন পলাতক রয়েছে।

মুকসুদপুরের সিন্দিয়াঘাট ফাঁড়ির ইনচার্জ আবুল বাসার জানান, মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জেনে ব্যবস্থা নেয়া হবে।