• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

স্থানীয়দের স্বেচাশ্রমে সচল সাঁকো

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০১৯  

শরীয়তপুরের জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউপির ডুবলদিয়া-হাওলাদারকান্দি-আকনকান্দি সড়কের খালের ওপরের বাঁশের সাঁকোটি দীর্ঘদিন ধরে ভেঙে পড়ে ছিল। স্থানীয় প্রশাসন ওই সাঁকো সংস্কারে কোনো উদ্যোগ না নেয়ায় অবশেষে চলাচলের জন্য গ্রামবাসী ওই সাঁকো সংস্কার করেছেন।

স্থানীয় সূত্র বলছে, জাজিরা উপজেলার বড়কান্দি ইউপির এক নম্বর ওয়ার্ডের গ্রাম ডুবুলদিয়া, হাওলাদারকান্দি ও আকনকান্দি। শরীয়তপুর-ঢাকা সড়ক থেকে ওই তিন গ্রামে যাতায়াতের জন্য একটি মাটির কাঁচা সড়ক রয়েছে। গত বছর গ্রামবাসী ওই সড়ক স্বেচ্ছাশ্রমে সংস্কার করেন। সড়কটির একটি অংশে খাল রয়েছে। খালের ওপর সাঁকো দিয়ে গ্রামবাসী যাতায়াত করতেন।

গত বছর সড়ক সংস্কার ও প্রশস্ত হওয়ায় গ্রামবাসী বাঁশের সাঁকোটি প্রশস্ত ও মজবুত করেন। তখন ওই সড়ক দিয়ে রিকশা-ভ্যান চলাচল শুরু করে। সে সঙ্গে বড়কান্দি ও পালেরচর ইউপির ১২টি গ্রামের মানুষ সড়ক দিয়ে চলাচল করেন। এরমধ্যে সাঁকোটি ভেঙে পড়ে। দীর্ঘদিন স্থানীয় প্রশাসনের লোকজনকে বলেও কাজ না হওয়ায় অবশেষে নিজেরাই সাঁকোটি সংস্কার করে নেন।

হাওলাদারকান্দি গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রহমান সাঁকোটি সংস্কারের উদ্যোগ নেন। সাঁকোটি সংস্কার করার জন্য গ্রাম থেকে কিছু টাকা তোলা ও বাঁশ সংগ্রহ করা হয়।

আব্দুর রহমান বলেন, পড়ালেখা শেষ করে চাকরির চেষ্টা করছি। বাড়িতে যখন আসি অনেক কষ্ট লাগে। গ্রামের মানুষের চলাচলের সড়কের খারাপ অবস্থা দেখে বসে থাকতে পারিনি। গ্রামের কিছু মানুষ নিয়ে নিজে সাঁকো সংস্কারে নেমে পড়ি। অনেকে এগিয়ে এসেছেন। কেউ নগদ টাকা, বাঁশ, কাঠ, শ্রম দিয়ে সাঁকো তৈরিতে সহায়তা করেছেন।

জাজিরার বড়কান্দি ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম সরদার বলেন, দুর্যোগ ও ত্রাণ অধিদফতর থেকে ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের জন্য প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে। যেহেতু সরকারি একটি প্রকল্প থেকে সেতু নির্মাণের প্রস্তাবনা দেয়া হয়েছে সেহেতু নতুন করে ওই স্থানে কোনো টাকা বরাদ্দ দেয়া হচ্ছে না। তাই সাঁকোটি সংস্কার করা হয়নি।

জাজিরা ইউএনও প্রশান্ত কুমার বিশ্বাস বলেন, ডুবুলদিয়া, হাওলাদারকান্দি ও আকনকান্দি গ্রামের সড়কটির চলাচল স্বাভাবিক রাখার জন্য সেতু নির্মাণ করা হবে। এলজিইডি থেকে ওই স্থানে একটি সেতু নির্মাণের প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। আগামী অর্থ বছরে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়া হবে।