• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভাঙ্গুড়ায় স্বামীর বাড়িতে দ্বিতীয় স্ত্রীর অবস্থান

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ জুন ২০১৯  

সুলতান মাহমুদ সুজনের দ্বিতীয় স্ত্রী সাবিনা ইয়াছমিন সাথী। সুজন পৌরসভার চৌবাড়িয়ার দক্ষিণ পাড়ার আব্দুর রশিদ বাবলুর ছেলে। ২০১৮ সালের ৯ নভেম্বর পাবনা জেলা জজকোর্ট উকিল ভবনে বিয়ে হয়। যার দেনমোহর ছিলো স্বর্ণের গহনা বাবদ ১ হাজার টাকার নগদ দিয়ে বাকি ৫ লাখ টাকা। এ বিয়ের রেজিস্ট্রেশন নং ৮৮/১৮।

এরপর থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে ঈশ্বরদীর পাকশী এলাকা বাসা ভাড়া নিয়ে দুজনের দাম্পত্য জীবন শুরু হয়। এভাবে ছয়মাস থাকেন তারা। কিন্তু সুলতান মাহমুদের ঘরে আরো একটি স্ত্রী ও এক সন্তান পূর্বই ছিল। বিষয়টি সাথী জেনে গেলে সংসারে বাক-বিতণ্ডা শুরু হয়।

একপর্যায়ে সুজন সাথীকে অস্বীকার করে। তখন থেকেই সাথীর সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এরপর থেকে সাথী বিভিন্ন দ্বারে দ্বারে বিচারের দাবিতে ঘুরে বিচার পাননি। কোনো উপায় না পেয়ে শনিবার বেলা ১১টা দিকে সুজনের বাড়িতে অবস্থান নেন সাথী। তার দাবি একটাই স্ত্রী মর্যাদা দিতে হবে। এ নিয়ে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় শুরু হয়েছে।   

সাবিনা ইয়াছমিন সাথী সাংবাদিকেদের বলেন, সুজন রুপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে চাকরি করেন। আমরা একই মহল্লার। কৌশলে সুজন আমার মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ করে। একপর্যায়ে প্রেম হয়, এরপর বিয়ে। সুজনের বাড়িতে আসার পর তার পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর শুরু করে।  

এদিকে সুজনের বাড়ির লোকজন সাথীর মা শিল্পী খাতুনকে বেধড়ক লাঠিপেটা করে আহত করে। ফলে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

এ ঘটনার পর থেকেই সুজন পলাতক রয়েছেন। ফলে তার উপর আনিত অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি। সুজনের বাবা আব্দুর রশিদ বাবলু প্রবাসী হওয়ায় তার পরিবারের অন্যান্য অভিভাবক ও স্বজনরা মুখ খুলতে নারাজ।

খবর পেয়ে ভাঙ্গুড়া থানার এসআই রাজু আহম্মেদ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। অনাকাঙ্খিত ঘটনা যেনো না ঘটে সুজনের পরিবারকে শতর্ক করেছেন।

ভাঙ্গুড়া থানার ওসি মো. মাসুদ রানা বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি তবে থানায় অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।