• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

‘বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে বাংলাদেশিদের নেওয়া আইনের লঙ্ঘন’

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩১ জানুয়ারি ২০২০  

বিদেশি ১০টি দূতাবাসের বিভিন্ন পদে কর্মরত ২৮ জন বাংলাদেশি ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে ভোট পর্যবেক্ষণের অনুমতি পেয়েছে।

এ বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এ ঘটনা সুস্পষ্ট আইনের লঙ্ঘন। বিদেশি হিসেবে বাংলাদেশের নাগরিকদের ভোট পর্যবেক্ষণে কোনোভাবেই কেন্দ্রে প্রবেশে অনুমতি পেতে পারে না (সুড নট অ্যালাও দেম টু ভিজিট অ্যানি বুথ)।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বলেন, ‘কোড অব কন্ডাক্ট মেনে চলার জন্য কূটনীতিকদের বলেছি। কেননা বেশকিছু বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন, এটি কীভাবে ঘটল জানি না। এটি নির্বাচন কমিশন ভালো বলতে পারবে।’

এদিকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) গণমাধ্যমকর্মীদের এ প্রসঙ্গে বলেছেন, বিদেশি সংস্থার যেসব বাংলাদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন, তাদের কাজ নির্বাচন কমিশন নজরে রাখবে।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্য এর ঢাকা মিশনে বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) একাধিকবার যোগাযোগ করা হলেও কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আমাদের দেশে যারা আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে আসবে, আইন অনুযায়ী তারা বাংলাদেশের নাগরিক হতে পারে না। কিন্তু আনফরচুনেটলি আমাদের এখানকার বিদেশি মিশন বা সংস্থায় যে সব বাংলাদেশি নাগরিক কাজ করছেন, তাদেরকে মিশন বা সংস্থাগুলো আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে, যা আইনের লঙ্ঘন। এ জন্য আমরা বলেছি যে দে সুড বি রেসপন্সিবল অ্যান্ড দে সুড ফলো দেয়ার কোড অব কন্ডাক্ট।

‘কোড অব কন্ডাক্ট লঙ্ঘনের ঘটনায়' এখনও কিছু করার আছে কিনা গণমাধ্যমকর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এটি নির্বাচন কমিশন জানে। নির্বাচন কমিশন সবই জানেন, তাদের কাছে আইন রয়েছে। যে সকল বাংলাদেশি আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন তারা ভোটকেন্দ্র পরিদর্শনের জন্য অনুমতি পেতে পারে না (সুড নট অ্যালাও দেম টু ভিজিট এনি বুথ)।’

জানা গেছে, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ ১ হাজার ৮৭ জন দুই সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এদের মধ্যে ২২টি দেশি সংস্থার মাধ্যমে ১ হাজার ১৩ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক রয়েছেন।

অন্যদিকে ১০ দূতাবাসের মাধ্যমে ৭৪ জন বিদেশি পর্যবেক্ষক সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন। এদের মধ্যে ৪৬ জন সরাসরি বিদেশি নাগরিক এবং ২৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক। এই ২৮ জন বাংলাদেশি ১০টি দেশের দূতাবাসে বিভিন্ন পদে কর্মরত।

ইসি সূত্র জানিয়েছে, ১০টি দূতাবাসের মধ্যে ইউএস দূতাবাসের মাধ্যমে ২৭ জন পর্যবেক্ষক দুই সিটি নির্বাচন পরিদর্শন করবেন। এ ২৭ জনের মধ্যে ১৮ জন বিদেশি এবং ৯ জন বাংলাদেশি নাগরিক রয়েছেন। এ ছাড়াও ব্রিটেনের দূতাবাসের মাধ্যমে ১২ জন পর্যবেক্ষক নির্বাচন পর্যবেক্ষণ রয়েছেন। এর মধ্যে পাঁচজন বিদেশি নাগরিক এবং সাতজন বাংলাদেশি কর্মকর্তা।

ইউরোপীয় ইউনিয়নের পাঁচজন পর্যবেক্ষকের সবাই ইউরোপের নাগরিক। নেদারল্যান্ডস দূতাবাসের রয়েছেন ৬ জন, এদের মধ্যে ৫ জন বিদেশি। সুইজারল্যান্ড দূতাবাসের ৬ জন পর্যবেক্ষক রয়েছেন। এদের মধ্যে দুইজন বিদেশি নাগরিক। জাপান দূতাবাসের মাধ্যমে পাঁচজন, যাদের মধ্যে তিনজন বিদেশি নাগরিক; ডেনমার্ক দূতাবাসের মাধ্যমে তিনজন, যাদের দুইজন বিদেশি নাগরিক, নরওয়ে দূতাবাসের চারজন, এদের মধ্যে আরও দুইজন বিদেশি, অস্ট্রেলিয়ান হাইকমিশন থেকে দুইজন বিদেশি নাগরিক; কানাডা হাইকমিশন থেকে চারজন, এদের মধ্যে দুইজন কানাডিয়ান নাগরিক সিটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবেন।