• বৃহস্পতিবার ০৯ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৯ শাওয়াল ১৪৪৫

সকাল গড়াতেই ভোটারদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১ ফেব্রুয়ারি ২০২০  

‘মামা, টাকা কি সব দিন কামাইলে হবে? ভোট তো প্রত্যেকদিন দিতে পারমু না।' কথাগুলো রিকশাচালক গফুর মিয়ার। তার পৈতৃক নিবাস রংপুর হলেও তিনি ঢাকা দক্ষিণের ভোটার। বংশাল কেন্দ্রে ভোট দিতে এসে তিনি এমন মন্তব্য করেন। কুয়াশার দাপট, কনকনে ঠান্ডা হাওয়া —এসব কিছুই বাদ সাধতে পারেনি ভোটে। গফুরের মতো অসংখ্য মানুষ স্বতঃস্ফূর্তভাবে ভোট দিতে এসেছেন।

শনিবার সকাল থেকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের আরামবাগ, পল্টন, শাহজাহানপুর, বংশাল, মালিটোলা, ইংলিশ রোড, নাজিরাবাজারসহ বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ভোটকেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, কেন্দ্রগুলোর সামনে ভোটারদের ভিড়।

 

 

কিছু কিছু কেন্দ্রে গেট খোলার আগেই ভোটাধিকার প্রয়োগে হাজির হন সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ। অনেকে প্রিয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করছেন। কেউ কেউ পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে হাসিমুখে ফিরছেন ঘরে। তরুণ-নারী ভোটারদের উপস্থিতিই সকাল থেকে বেশি। তবে কয়েকটি কেন্দ্রে ভোটারের উপস্থিতি একেবারেই কম। 

নাজিরাবাজার বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা আবদুল্লাহ্ আল মামুন বলেন, সকালে অনেকে আসতে চান না। দুপুরে ভোটারের সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ করতে নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা সোহেল মোল্লা। তিনি বলেন, নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যাপ্ত।

 

 

আরামবাগ এলাকার ভোটার শরীফ হোসেন জানান, তিনি প্রিন্টিং প্রেসে কাজ করেন। আজ হাজিরা দিলেই ৩৫০ টাকা বেতন পেতেন। সেই কাজ বাদ দিয়ে ভোট দিতে এসেছেন।

ষাটোর্দ্ধ বয়সী আসমত বেগম ভোট দিয়েছেন সকালেই। এরপর তিনি বলেন, সবার আগে ভোট দিতে সকাল সকাল কেন্দ্রে এসেছি। শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিয়েছি। কোন রকমের ঝামেলা হয়নি। ভোটের পরিবেশ খুব ভাল বলে জানান তিনি।

এক দিন আগেও নগরবাসীরা ভোর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত নিজেদের প্রাত্যহিক কাজে ব্যস্ত ছিলেন। কিন্তু আজ সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ ও তাদের পরিবারের সদস্যরা দল বেঁধে কেন্দ্রে এসে ভোট দিচ্ছেন। সকাল থেকেই কেউ হেঁটে, কেউবা রিকশায় চেপে ভোট দিতে আসছেন। তাই অন্যান্য দিনের মতো মানুষদের কর্মঠ দেখা যায়নি। আর ভোটকেন্দ্রগুলোতে ছিল উৎসবের আমেজ।