• বৃহস্পতিবার ০২ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

ভুটান ঢুকলেই বাংলাদেশিদের গুনতে হবে ৫৬০০ টাকা!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২২ নভেম্বর ২০১৯  

পাহাড় বেষ্টিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরপুর দক্ষিণ এশিয়ার দেশ ভুটান। বাংলাদেশসহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার কয়েকটি দেশ শুধু অন-অ্যারাইভাল ভিসা নিয়েই দেশটি ভ্রমণ করতে পারতেন। এসব দেশের পর্যটকদের জন্য এক প্রকার উন্মুক্তই ছিল ভুটানের দরজা।

তবে এবার বিশ্বের অন্যান্য দেশগুলোর মতো বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের পর্যটকদের ওপর বিভিন্ন ধরনের বিধি-নিষেধ ও ফি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভুটান। এ বিষয়ে প্রস্তাবনার একটি খসড়া চূড়ান্ত করেছে ট্যুরিজম কাউন্সিল অব ভুটান (টিসিবি)। 

জানা গেছে, আগামী মাসেই খসড়াটি দেশটির পার্লামেন্টে তোলার কথা রয়েছে। ২০২০ সালের প্রথম থেকেই এটি কার্যকর হতে পারে। সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য হিন্দু এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে।

পরিসংখ্যান বলছে, ২০১৮ সালে মোট ২ লাখ ৭৪ হাজার পর্যটক ভুটান ভ্রমণ করেছেন। এর মধ্যে দুই লাখই এ উপমহাদেশের, এর মধ্যে আবার ১ লাখ ৮০ হাজার ছিল সীমান্তঘেঁষা দেশ ভারত থেকে।

দ্য হিন্দু জানায়, অন্য দেশের পর্যটকদের ভুটান ভ্রমণে প্রতিদিন ২৫০ মার্কিন ডলার (২১ হাজার ২৫০ টাকা প্রায়) পরিশোধ করতে হয়। এর মধ্যে রয়েছে ৬৫ ডলার টেকসই উন্নয়ন ফি ও ৪০ ডলার ভিসা ফি। তবে বাংলাদেশ, ভারত ও মালদ্বীপের নাগরিকদের জন্য এসব প্রযোজ্য ছিলো না।

নতুন নিয়ম চালু হলে ভুটান যেতে অন্য দেশগুলোর মতোই উপমহাদেশের এই তিন দেশের পর্যটকদেরও ভিসা ফি’সহ আগেই আবেদন করতে হবে। পাশাপাশি উন্নয়ন ফি’র জন্য প্রতিদিন গুনতে হবে ৬৫ ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৫ হাজার ৬০০ টাকা।

অর্থাৎ কেউ একদিনের জন্য ভুটান গেলেও তাকে ভিসা ফি’র ৩ হাজার ৪০০ টাকা (৪০ ডলার) ও উন্নয়ন ফি’র ৫ হাজার ৬০০ টাকাসহ অন্তত নয় হাজার টাকা অবশ্যই পরিশোধ করতে হবে। 

এদিকে পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে স্থানীয়রা অনিয়ন্ত্রিতভাবে গেস্ট হাউস বা অতিথিশালা তৈরি করছে। এছাড়া ভুটান সরকার স্বল্প খরচে বাড়ি ভাড়ার অনলাইন বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করেছে। তারা জানিয়েছে, এখন থেকে শুধু অনুমোদিত বাড়ি ভাড়ার বিজ্ঞাপনই অনলাইনে প্রকাশ করা যাবে।

গত কয়েক বছরে এ অঞ্চলের ভুটান ভ্রমণকারীর সংখ্যা অনেক বেশি বেড়েছে। এসব পর্যটকদের পর্যাপ্ত খাদ্য ও আবাসনের ব্যবস্থা করতে গিয়ে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এ কারণে অনিয়ন্ত্রিত পর্যটক সংখ্যা কমিয়ে সেটিকে সহনশীল মাত্রায় আনার উদ্যোগ নিচ্ছে ভুটান।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভুটানের এমন সিদ্ধান্তে দেশটিতে যেতে অনেক পর্যটকের আগ্রহে ভাটা পড়বে। তবে আপাতত ভুটান সরকার এই সিদ্ধান্তেই অটল রয়েছে।