• মঙ্গলবার   ২৮ মার্চ ২০২৩ ||

  • চৈত্র ১৩ ১৪২৯

  • || ০৬ রমজান ১৪৪৪

কবরস্থানই যেখানে স্বর্গের বাগান!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১২ মে ২০২০  

মৃত্যুর স্বাদ প্রত্যেকটি প্রাণীকে গ্রহণ করতে হবে। ধনী-গরিব, সৎ-পাপী সব মানুষকেই এই দুনিয়ার মায়া ত্যাগ করতে হবে। মৃত্যুর পর যার যার কর্ম অনুযায়ী জান্নাত বা জাহান্নাম লাভ করবে। তবে জান্নাত লাভের স্বপ্ন প্রত্যেকটি মানুষেরই রয়েছে।

স্বর্গীয় সুখের আশায় মানুষ নিজেদের পাপাচার থেকে বিরত রাখেন। স্বর্গ, যেখানে রয়েছে ফুলের বাগান, ঝর্ণা, পাখিদের সুমিষ্ট গান, অফুরন্ত খাবার ইত্যাদি। এমন আরো অনেক কিছুই লাভ হবে স্বর্গে, যা আমরা কখনো কল্পনাও করতে পারি না। এসব কিছুই আমরা আমাদের ধর্মগ্রন্থের মাধ্যমে জানতে পারি। তবে কল্পনার স্বর্গ আমরা কেউ কখনো বাস্তবে দেখিনি।

মৃত্যুর পর একটি নির্দিষ্ট স্থানেই সবার সমাধি হয়। তেমনি একটি সমাধিস্থান হচ্ছে কবরস্থান। মৃত্যুর কথা প্রথমে মনে পড়লেই আমাদের কবরের কথা মনে পড়ে যায়। অন্ধকার কবরের কথা মনে পড়তেই গা শিউড়ে ওঠে। যা অনেকের কাছেই একটি ভয়ের স্থান। কখনোই যেখানে বেঁচে থাকতে একা যেতে চাইবেন না কেউ। তবে পৃথিবীতে এমন এক দেশ রয়েছে, যেখানকার কবরস্থানগুলোকে দেখলে মনে হবে এক একটি স্বর্গের বাগান।

 

কবরস্থানই স্বর্গের বাগান

কবরস্থানই স্বর্গের বাগান

চার কোনায় বাহারি টাইলস ও পাথরের ওপরে খোদাই করে বসানো হয়েছে নামফলক ও মূর্তি। মূর্তির পাশেই রয়েছে নানা রঙের দৃষ্টিনন্দন ফুল, সারিবদ্ধভাবে দেয়ালের সঙ্গে লাগানো হয়েছে টাইলস ও চার কোনায় পাথরের টুকরো। তাতে খোদাই করে লেখা রয়েছে নাম-ঠিকানা ও পরিচয়। প্রথমে দেখে মনে হতো এটা সাজিয়ে রাখা কোনো বাগান, তবে বাগান নয়। দর্শনার্থীদের কাছে মনে হতে পারে এটা একটি স্বর্গের বাগানের মতো। এটা আসলে খ্রিস্টান ধর্মীয় বিভিন্ন মানুষের সমাধি। এই কবরস্থান বা সমাধি দেখতে এতটাই দৃষ্টিনন্দন যে, দূর থেকে দেখলে মনে হবে এ যেন স্বর্গের বাগান। জার্মান স্পেনে দেখা মিলবে এ ধরনের করস্থানের।

জার্মানির এই কবরস্থান দেখলে মৃত্যুর ভীতি দূর হয়ে যাবে। জার্মানির এই কবরস্থানগুলোতে প্রত্যেক পরিবারের লাশগুলো সারিবদ্ধভাবে সমাধি দেয়া হয়। স্বামীর পাশে স্ত্রীর, স্ত্রীর পাশে স্বামীর কবর রয়েছে। মৃত্যুর ব্যবধান এক যুগের বেশি হলেও সমাধি দেয়া হয় সারিবদ্ধভাবেই। প্রত্যেকের কবরে আছে নামফলক ও ফুল। জার্মানিতে সপ্তাহের শনি ও রোববার এখানে প্রিয়জনদের কবর দেখতে আসেন হাজারো মানুষ। অনেকে আবার প্রতিদিনই আসেন। এখানে প্রদীপ জ্বালান, ঝাড়ু দেন ও ফুল দেন। এছাড়া অনেক ফুল গাছে পানি দেন ও বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধিও দেন।