• শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৪ ১৪৩১

  • || ১৭ শাওয়াল ১৪৪৫

জেনে নিন ডেঙ্গু সর্ম্পকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৩ আগস্ট ২০১৯  

‘ডেঙ্গু জ্বরে প্লাটিলেট অতিরিক্ত কমে না আসলে এবং রক্তক্ষরণ না হলে বাসায় ডেঙ্গুর ট্রিটমেন্ট নেয়া সম্ভব। তবে ডায়াবেটিস, প্রেসার, কিডনি, হার্ট ও স্ট্রোকের রোগীদের ডেঙ্গু জ্বর হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবা নিতে হবে। এক্ষেত্রে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন হতে পারে। সব ডেঙ্গু জ্বরে হাসপাতালে ভর্তির প্রয়োজন নেই।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডেকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন বিভাগের সাবেক ডিন অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ এ তথ্য জানান।

মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গু জ্বর অনেক ক্ষেত্রে কম হতে পারে, আবার বেশিও হতে পারে। দেখা যায়, জ্বর তিন/চার দিন পর ভালো হয়ে যায়। তবে প্লাটিলেট কম হতে থাকে। এরপর মাঝখানে একটি বিরতি দিয়ে আবার জ্বর আসে। 

এ জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, শরীর ব্যথা এবং চোখের পেছনে ব্যথা করবে। জ্বর সাধারণত দুই দিন থাকার পর শরীরের বিভিন্ন জায়গায় র‌্যাশ দেখা যায়। জ্বর হলে শুধু প্যারাসিটামল ওষুধ খাবে। এসপিরিন বা অ্যান্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়া যাবে না। জ্বর যদি জটিল পর্যায় হয়, তাহলে মাড়ি দিয়ে রক্ত পড়তে পারে, রক্তবমি হতে পারে। 

অনেকের ক্ষেত্রে পায়খানার সঙ্গে রক্ত যেতে পারে আবার শ্বাসকষ্টও হতে পারে। আপার অ্যাবডোমিনে বা ওপরের পেটে পানি চলে আসতে পারে। এই জ্বরে যেহেতু পানিশূন্যতা বেশি হয়, তাই প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যেতে পারে। 

এতে কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। ঘাম হতে পারে। বমি বমি ভাব হতে পারে, খাবারে অরুচি হতে পারে। সঙ্গে প্রচুর পানি ও তরল খাবার খেতে হবে। অন্যান্য ভাইরাস জ্বরের যে লক্ষণ, সেগুলো প্রায় সবই ডেঙ্গু জ্বরে থাকবে।

তিনি বলেন, ডেঙ্গুর প্রকোপের চেয়ে যেন আতঙ্কই বেশি। নরমাল জ্বরেও সবাই ছুটছেন হাসপাতালে। ফলে রাজধানীর সব হাসপাতালে ভিড় বাড়ছে। তাই জ্বর হলেই হাসপাতালে ভিড় জমানোর প্রয়োজন নেই। তবে ডেঙ্গু জ্বর হলে নিয়মিত প্লাটিলেট পরীক্ষা করাতে হবে।

অধ্যাপক ডা. এ বি এম আব্দুল্লাহ বলেন, ডেঙ্গুর চিকিৎসা আছে। এক্ষেত্রে অযথা আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই।