• শনিবার ০৪ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ভবিষ্যৎ রাজনীতি নিয়ে সংশয়ে বিএনপির তৃণমূল, হতাশা জোটেও

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৪ মে ২০১৯  

 কেবল সিদ্ধান্তহীনতার কারণে রাজনীতির মাঠে বিগত সময়ে অনেক কিছুই হাতছাড়া হয়ে গেছে বিএনপির। নেতৃত্বের দুর্বলতা, সমন্বয়হীনতা, নেতাদের মতভিন্নতার দরুন জরাজীর্ণ দলে পরিণত হয়েছে বিএনপি। ফলে দীর্ঘ ছন্নছাড়া যাত্রায় এখন বিএনপির নেতৃত্বের ওপর ভরসা করতে পারছে না কেউই। ফলে বিএনপির রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয়ে নেতারা। বিএনপির এমন পরিস্থিতিতে সবচেয়ে হতাশ তৃণমূল নেতাকর্মীরা। যারা কোনো ভরসা করতে পারছে না বিএনপির ওপরে। সংশয়ে পড়ে আছে বিএনপির প্রধান হাতিয়ার ২০ দলীয় জোটের শরিকরাও।

সূত্র বলছে, বিএনপির রাজনীতি খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে প্রায় একযুগ সময় ধরে। নানা দৈন দশায় শেষ সময়ে যখন বিএনপির ঘুরে দাঁড়ানোর সময় তখন সংসদে যোগ দিলো বিএনপি। এ নিয়ে শরিক ও তৃণমূল আরেকবার হতভম্ব পরিস্থিতিতে পড়ে। হঠাৎ এমন সিদ্ধান্ত কোনো সমঝোতার অংশ কি না সেই সংশয়ও দানা বেঁধেছে নেতাদের মনে। অন্যদিকে সম্প্রতি বগুড়া-৬ আসনের উপনির্বাচন নিয়ে বিএনপির মত পরিবর্তনেও একই অবস্থা তৈরি হয়েছে। ক্ষমতাসীন সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ নিবে না বললেও শেষে উপ-নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে বিএনপি। তাতেও তৃণমূল হতবাক। যেখানে কিছুদিন আগেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের অভিযোগে প্রায় দুই শতাধিক নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছিলো, সেই বিএনপিই নতুন করে নির্বাচনমুখী হচ্ছে। এমন নানান ইস্যু তৃণমূলকে বিভ্রান্তির মধ্যে ফেলছে।

একই অবস্থা জোটেও। নেতৃত্বের দুর্বলতার বিষয়ে সোচ্চার হয়েছে ২০ দলীয় জোটের শরিকরা। এর অংশ হিসেবে শরিক দল এলডিপির সভাপতি কর্নেল (অব) অলি বলেছেন, জোটের বৃহত্তর ঐক্য গড়ে তোলার জন্য তাকে অথবা ঢাকায় অবস্থানরত কোনো বিএনপি নেতাকে নেতৃত্ব দিতে হবে। বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার পক্ষে জেলে থেকে আমাদের নির্দেশ নেওয়া সম্ভব না। আবার তারেক রহমানের পক্ষে লন্ডন থেকে সক্রিয়ভাবে মাঠে থাকা সম্ভব নয়। নেতৃত্বের পরিবর্তন করতে হবে। নাহলে বিএনপি তথা ২০ দলের ভবিষ্যৎ অন্ধকার।

কর্নেল অলির বক্তব্য ও তৃণমূলের ক্ষোভের জায়গা একই। ফলে তারা বর্তমান নেতৃত্বের উপর বিশ্বাস রাখতে পারছে না। এ অবস্থায় নেতৃত্বের পরিবর্তনটা জরুরি হয়ে দাঁড়িয়েছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, কেবল নেতৃত্বের পরিবর্তন নয়, দলের সংকটগুলো কাটিয়ে উঠতে না পারলে তৃণমূল থেকে বিএনপি নির্জীব হতে শুরু করবে। যখন কোনোভাবেই দলকে টিকিয়ে রাখা সম্ভব হবে না। তৃণমূলে অসন্তোষ সে যাত্রার সূচনাপর্ব মাত্র।