• রোববার ২৮ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৫ ১৪৩১

  • || ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জিয়া পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে মরিয়া তারেক : আসছে দুই পুত্র বধূ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

জাতীয় নির্বাচন যত বেশি কাছে আসছে, গুঞ্জনও হচ্ছে তত বেশি জোরালো। ইতোমধ্যে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচন কেন্দ্রীক প্রচারণা। কোমর বেঁধে দলীয় প্রার্থীরা মাঠে নেমেছে ভোটারদের কাছে নিজেদের নির্বাচন  প্রতিশ্রুতি ও পরিচিতি প্রদানের জন্য। দেশের প্রধান  দুই রাজনৈতিক দলও মনোনিবেশ করছে প্রচারণায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ প্রচারণা শুরু করেছেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের সমাধি জিয়ারত ও ফাতেহা পাঠের মাধ্যমে। বিএনপির হয়ে প্রচারণায় নেমেছে ঐক্যফ্রন্ট। তারা সিলেটের হযরত শাহজালাল (রা.) ও শাহ পরান (রা.) এর মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে প্রচারণা শুরু করেছেন ।

এ সময় ঐক্যফ্রন্টের ড. কামালসহ অন্যান্য নেতারা বিএনপির ধানের শীষের লিফলেট বিতরণ করেন। কিন্তু তাদের সাথে বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে দেখা যায়নি। এমনকি এবারের নির্বাচনী উত্তেজনায় নেই বিএনপির জিয়া পরিবার।

এবারের নির্বাচনে জিয়া পরিবারের কাউকেই দেখা যাচ্ছে না । দেশ স্বাধীন হওয়ার পর প্রায় সকল নির্বাচনেই ছিল বিএনপি দলের সংগঠক জিয়া অথবা জিয়া পরিবার থেকে কারও না কারও অংশগ্রহণ। কিন্তু এই নির্বাচনে নিজেদের কৃতকর্মের জন্যই নির্বাচন থেকে দূরে আছেন জিয়া পরিবারের সদস্যরা। কয়েক ডজন মামলার দায়ে খালেদা জিয়া আছেন কারাগারে। তারপরও সে  ফেনী-১, বগুড়া – ৬ ও বগুড়া -৭ আসনের হয়ে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন। বিভিন্ন  মামলার আসামি ও কারাদণ্ড প্রাপ্ত হওয়ায় বাতিলের  ঝুড়িতে জমা  হয় তার মনোনয়নপত্র।

খালেদা জিয়ার অবর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে ঘোষণা করা হয় তারেকের নাম। সেই ফেব্রুয়ারি থেকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছে তারেক। কিন্তু দলের দুর্দিনে তিনি দেশে এসে দলকে সাহস যোগাননি। তার দেশে না আসার একটাই কারণ তা হলো মামলার বোঝা। জননীর ন্যায় পুত্রও মামলার দায়ে জর্জরিত। দেশে তিনি আসলেই যেতে হবে কারাভ্রমণে। এজন্যই তারেকের দেশে আসতে এতো বিলম্ব। কিন্তু এই নির্বাচনে জিয়া পরিবারের কেউ না থাকায় তা বেশ ভাবিয়ে তুলছে তারেককে।

তারেককে যতই ভাবিয়ে তুলুক না কেন দেশে আসছে না তিনি। এদিকে তারেক লন্ডনে বসেই দিন দিন সন্দেহের জাল বুনছে মির্জা ফখরুল, রিজভীসহ শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের  বিরুদ্ধে। তারেক মনে করছে যে ফখরুলসহ দলের অন্যান্য নেতাকর্মীরা জিয়া পরিবারের নির্বাচনে না থাকার সাথে জড়িত। এজন্য তারেক দলের শীর্ষ স্থানে জিয়া পরিবারের কাউকে বসাতে মরিয়া।

তারেকের স্ত্রী জোবায়দা ও কোকোর স্ত্রী শর্মিলাকে রাজনীতিতে আনছে তারেক। কারণ বর্তমানে জিয়া পরিবারের আর কোনো উত্তরসূরি নেই। কিন্তু শর্মিলার সাথে তারেক ও তার স্ত্রীর সম্পর্ক ভালো ছিল না। এমনকি দলের অনেক নেতাকর্মী কেউ পছন্দ করতো জোবায়দাকে আবার কেউ পছন্দ করত শর্মিলাকে। এখন তার কাছে মুখ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে বিএনপিতে জিয়া পরিবারকে টিকিয়ে রাখা।

তারেক তার স্ত্রী জোবায়দা ও তার ভাইয়ের স্ত্রী শর্মিলাকে দিতে চান দলের শীর্ষস্থানীয় পদ। যাতে বিএনপির ক্ষমতা জিয়া পরিবারের বাহিরে না যায়। এজন্যই দ্রুত রাজনৈতিক অঙ্গনে এসে বিএনপির হাল ধরছে দুই পুত্র বধূ।