• বুধবার ০১ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৭ ১৪৩১

  • || ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জয়ের লক্ষ্যে সবাই ছিল এক সুতোয় গাঁথা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জুন ২০১৯  

ভারতের সঙ্গে আফগানদের এমন দৃঢ়তাপূর্ণ লড়াই এই ম্যাচের গুরুত্ব অনেকখানি বাড়িয়ে দিয়েছিল। মনের এক কোণে বাড়তি একটা চাপ কিছুটা হলেও অনুভব করছিলাম। একই সঙ্গে মোসাদ্দেক ও সাইফউদ্দিনের ইনজুরি কাটিয়ে দলে ফেরত আসার খবরটি ছিল ছন্দময় একাদশকে আবার ফিরে পাওয়া।

ব্যাটিং ও বোলিংয়ে দলের সবার এক সঙ্গে লড়াই দারুণ উপভোগ করেছি। বিশেষ করে ফিল্ডিংয়ের সময় তাদের শারীরিক ভাষা বলে দিচ্ছিল দিন শেষে জয় নিয়েই আমরা মাঠ ছড়াবো। তবে এত বড় ব্যবধানে এবং অনায়াসে ম্যাচ জেতার জন্য দলের সবাইকে অভিনন্দন।

এই মন্থর পিচে টস জয়ী না হয়েও ব্যাটিং করার আকাঙ্ক্ষিত সুযোগটি বাংলাদেশ পেয়ে যায়। পিচে রান যখন ২৫০’র আশেপাশে থাকে তখন প্রায়ই ১২৫ বা ১৪০ রানের বড় পার্টনারশিপ গড়ে উঠে না। তবে ৫০ রানের আশে পাশে ৩টি কার্যকর পার্টনারশিপ গড়ে উঠায় ২৬২ রান করতে বাংলাদেশকে বেগ পেতে হয়নি এবং রিয়াদের কাঁধ থেকে দায়িত্ব নিয়ে ছোট হলেও দারুণ কার্যকর ইনিংস খেলেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত।

বাংলাদেশের এই ইনিংসে দুজনের নাম উল্লেখ না করলেই নয়। ধারাবাহিকভাবে বড় রান করলেন মুশফিক এবং তাকে ঘিরেই একটা বড় ব্যক্তিগত সংগ্রহ ও দুটি বড় পার্টনারশিপ পায় বাংলাদেশ। অপর খেলোয়াড়টি আর কেউ নন সাকিব। যিনি নিজেকে এবং বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য এক উচ্চতায়। নিজের ক্যারিয়ারের সেরা সময়টা তিনি পার করছেন ব্যাট হাতে এবং কাল বল হাতে অনন্য এক কৃতিত্বের সংযোগ ঘটিয়ে নিজেকে মহিমান্বিত করলেন। আর বাংলাদেশকে এনে দিলেন দৃঢ়তাপূর্ণ একটি বিজয়।

মন্থর এই পিচে বাংলাদেশ ভালো ব্যাট করেছে। বড় মাঠে বড় শটের পেছনে না ছুটে এক ও দুই রান সংগ্রহে অনেক মনোযোগী ছিল। এক মুজিবর ছাড়া আফগান কোন বোলার উল্লেখযোগ্যভাবে আমাদের ব্যাটিংয়ে প্রভাব বিস্তার করতে পারেনি। নবী ও রশিদ খানের বিপক্ষে যথেষ্ট কৌশলের সঙ্গে ব্যাট করায় আফগানদের মূল শক্তি স্পিন কাল ছিল অকার্যকর।

আফগানরা ব্যাটিংয়েও বাড়তি কিছু করার সুযোগ পায়নি। উদ্বোধনী জুটিতে তাড়া কিছুটা উজ্জ্বল থাকলেও নিয়মিতভাবে উইকেট পড়ায় তারা আর হুমকি হয়ে ম্যাচে ফিরতে পারেনি। সাকিবের পাশাপাশি অন্য বোলাররা উইকেট তুলে নেওয়ার ব্যাপারে তৎপর না হলেও মিতব্যয়ী বোলিং করে একটা চাপ পুরো ম্যাচ জুড়ে বজায় রেখেছিলেন।

লিটন দাসকে ৫ নম্বরে রাখলেই ভালো হতো বলে আমার মনে হয়েছে। প্রতিপক্ষের মুজিবরের মেধার গুরুত্বের আলোকে সৌম্যকে ৫ নম্বরে নিয়ে যাওয়াটা ভালো লাগেনি। নিজের দলীয় খেলোয়াড়ের ওপর টিম ম্যানেজমেন্টের আরও আস্থাশীল হওয়া উচিত। আকাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের পথে বলিষ্ঠভাবে এগিয়ে চলা দলের সবাইকে অভিনন্দন জানাই।