• বুধবার ০৮ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২৫ ১৪৩১

  • || ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামত করলেই টঙ্গী-গাজীপুর সড়কে যানজট কমবে ॥ মেয়র

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৯ জুন ২০২১  

গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেছেন, টঙ্গী গাজীপুর মহাসড়কের বিআরটি রাস্তার মহাযানজট আপাতত সামাল দিতে রাস্তার ভাঙাচোরা খানাখন্দ মেরামত করা হলেই যানজট ৬০ থেকে ৭০ ভাগে কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি আশা করছেন, বিআরটি কর্তৃপক্ষ মেরামতের কাজটি অতিদ্রুত সম্পন্ন করতে এগিয়ে আসবেন। গাজীপুর মহানগর পুলিশের বিশেষ তৎপরতায় যানজট অর্ধেকের নিচে নেমে আসলেও ভাঙাচোরা খানাখন্দ রাস্তায় আবারও তা ভয়াবহতায় রুপ নিয়েছে। শনিবার টঙ্গী চেরাগআলীতে মহাসড়কে বিআরটি'র চলমান কাজ এবং যানজট দেখতে এসে এসব কথা বলেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, সেতু বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম, উপপুলিশ কমিশনার টঙ্গী জোন ইলতুৎ মিশ, উপ-পুলিশ কমিশনার আবদুল্লাহ আল মামুন, অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার হাফিজ, ট্রাফিক বিভাগের সহকারী পুলিশ কমিশনার পীযূষ কুমার দে, ওসি টঙ্গী পশ্চিম থানার শাহ্ আলম, ওসি টঙ্গী পূর্ব থানা মাসুদ পারভেজ।

বিআরটির টঙ্গী-গাজীপুরের রাস্তার চলমান কাজ এবং ভাঙাচোরা রাস্তা মেরামত প্রসঙ্গে সেতু বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আর্থিক সংকটে থাকার কারণে টঙ্গী গাজীপুর মহাসড়কে বিআরটি প্রকল্পের কাজ ধীরগতিতে চলছে। তিনি টঙ্গী চেরাগআলীতেস সকাল ১০ টায় আসার কথা থাকলেও আসেন বেলা সাড়ে ১২ টায়। যানজটের কথা স্বীকার করে তিনি বলেন, যানজট নিরসনে রাস্তা মেরামত কাজ চলমান আছে এবং তার গতি বাড়ানো হবে। 

সচিব সিদ্দিক গণমাধ্যমকে আরও বলেন, বিকল্প সড়ক না থাকায় টঙ্গী-গাজীপুর সড়কটিতে যানজটসহ বিভিন্ন সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। অতি দ্রুত বিকল্প সড়কের ব্যবস্থা করে বিআরটির মহাসড়কের উন্নয়নের কাজ চালু রাখা হবে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের গাজীপুর অংশে দুর্ভোগ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব নজরুল ইসলাম বলেন, মহাসড়কে যানজট নতুন কিছু নয়। প্রকল্পের আগেও নিয়মিত যানজট ছিল। প্রকল্পের কারণে এখন হয়তো যানজট একটু বেশি হচ্ছে। প্রকল্প চলাকালীন এই দুর্ভোগ সকলকে মেনে নিতে হবে। তবু আমরা চেষ্টা করছি দুর্ভোগ কমানোর জন্য। অপর দিকে মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, টঙ্গী গাজীপুর মহাসড়কে বিআরটির রাস্তায় যানজট কমাতে বিকল্প রাস্তা হিসাবে টঙ্গী বনমালা হায়দ্রাবাদ গাজীপুর হেডকোয়ার্টার সড়কের কাজ প্রায় শেষের পথে। ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর শিববাড়ি পর্যন্ত সাড়ে কুড়ি কিলোমিটার অংশে চলমান ‘বাস র্যাপিড ট্রানজিট- বিআরটি প্রকল্প কাজের ধীরগতির কারণে মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে গাজীপুর সিটি মেয়র জাহাঙ্গীর আলম আরো বলেন, গাজীপুরের মানুষের খুব কষ্টে আছে। বিআরটি প্রকল্পের কাজ শুরু করার আগে বিকল্প কোন রাস্তার চিন্তা করা হয়নি। ইঞ্জিনিয়াররা ভুল ডিজাইনে কাজ করছেন। আজ তাদের ভুলের খেসারত দিতে হচ্ছে গাজীপুর ও বৃহত্তর ময়মনসিংহসহ ৩০ রুটের বিভিন্ন জেলার মানুষকে। মহাসড়কের দুই পাশে কোন ফুটপাতের জায়গা রাখা হয়নি, সড়কের দুই পাশের পানি কিভাবে নিষ্কাশন হবে সে ব্যবস্থাও রাখা হয়নি, ভুল ডিজাইনে ফ্লাই ওভার ব্রিজ করা হচ্ছে। যেখানে ১০ লেনের সড়ক প্রয়োজন, সেখানে মাত্র ৪ লেন দিয়ে কি হবে ?

 বিআরটি প্রকল্পের ধীরগতি ও মানুষের দুর্ভোগের চিত্র তুলে ধরে সাংবাদিকরা মেয়রকে প্রশ্ন করলে তিনি প্রকল্পের ধীরগতি ও অব্যবস্থাপনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেন এবং অচিরেই এর একটি সমাধান হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন। মেয়র জাহাঙ্গীর প্রকল্পের অর্থনৈতিক স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন রেখে বলেন, বলা হচ্ছে ৩০ ভাগ লেসে কাজ দেওয়ায় ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজে গড়িমসি করছে। অথচ প্রকল্পের ব্যয় দুই হাজার কোটি টাকা থেকে বাড়িয়ে ৪৩ হাজার কোটি টাকা করা হয়েছে। লেস হলে টাকা মাইনাস হবে, কিন্তু প্লাস হবে কেন ? প্রকল্পে হরিলুট চলছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এসব টাকা আমাদের ঋণের টাকা, এই ঋণ আমাদেরকে পরিশোধ করতে হবে।