• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পাষণ্ড স্বামীর বর্বরতা!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৯ এপ্রিল ২০১৯  

মানিকগঞ্জে সুজন মিয়া নামে এক পাষণ্ড স্বামী গরম পানি ঢেলে দিয়ে তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর শরীর ঝলসে দিয়েছে। গৃহবধূ লতা আক্তার ঝলসানো শরীর নিয়ে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালের বেডে যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছেন। এ ঘটনায় গতকাল সোমবার লতার বাবা বাদী হয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

লতার বাবা বিশা খাঁ জানান, এক বছর আগে সদর উপজেলা বেউথা গ্রামে আব্দুল বাতেনের ছেলে সুজন মিয়ার সাথে তার মেয়ে লতা আক্তারের বিয়ে হয়। বর্তমানে তার মেয়ে সাড়ে চার মাসের অন্তঃসত্ত্বা। গত রবিবার দুপুরে সুজন মিয়া গোসল করার জন্য গরম পানি করতে বলে তার স্ত্রীকে (লতা)। গরম পানি হওয়ার পর সুজন গোসলের জন্য তার স্ত্রীকে গামছা নিয়ে আসতে বলে। গামছা নিয়ে গেলে গামছা ময়লা বলে সুজন তার স্ত্রীকে মারধর করে। এক পর্যায়ে গোসলের গরম পানি স্ত্রীর শরীরে ঢেলে দেয়। এতে লতার পিঠ ও দুই হাত ঝলসে যায়।

ঘটনার খবর পেয়ে লতার বাবা বিশা খাঁ সন্ধ্যায় মেয়েকে সুজনদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করেন।

হাসপাতালে যন্ত্রণায় কাতর লতা আক্তার বলেন, প্রায় সময় নানা কিছু অজুহাতে তার স্বামী আমাকে মারধর করে। ওই দিন আমাকে হত্যার উদ্দেশে শরীরে গরম পানি ঢেলে দিয়েছে।

মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) লুফর রহমান জানান, গরম পানিতে ওই গৃহবধূর ৩০ ভাগ শরীর ঝলসে গেছে। বর্তমানে শঙ্কা মুক্ত থাকলেও এ ধরনের রোগীকে ৭২ ঘণ্টা অভজারভেশনে রাখা হয়।

মানিকগঞ্জ সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জমান বলেন, শরীরে গরম পানি ঢেলে দেওয়ার অভিযোগে লতা আক্তারের বাবা একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পাওয়ার পর পরই হাসপাতালে ও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আসামি সুজন মিয়াকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলেছ।