• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণ, আসামি ৮

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৪ এপ্রিল ২০১৯  

টাঙ্গাইলে স্বামীর সামনে স্ত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় ৮ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে ধর্ষিতার স্বামী বাদী হয়ে টাঙ্গাইল মডেল থানায় মামলাটি করেন।

এ ঘটনায় এরইমধ্যে ছয় আসামিকে গ্রেপ্তার হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছেন শহরের কোদালিয়া এলাকার আলম মিয়ার ইউসুফ রানা, একই এলাকার রশিদের ছেলে মো. রবিন, দেওলা এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে জাহিদুল ইসলাম, নাগপুর উপজেলার ধুবরিয়া এলাকার মজনু মিয়ার মো. মফিজ, কোদালিয়া এলাকার রবিকুল ইসলামের ছেলে তানভীরুল ইসলাম তাসিন, দেওলা এলাকার আল বেরুনীর ছেলে ইব্রাহিম ইবনে আলবেরুনী। এঘটনায় অপর দুই পলাতক আসামিরা হলেন দেওলা এলাকার হাসান সিকদার ও মো. উজ্জল মিয়া।

শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে এসপি সঞ্জিত কুমার রায় সংবাদ সম্মেলের মাধ্যমে এসব তথ্য জানান।

এসপি বলেন, শহরের তিনটি স্থানে ওই গৃহবধুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়। খবর পেয়ে পুলিশ তাৎক্ষণিকভাবে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ছয়জনকে গ্রেপ্তার করেছে।

আটকদের  ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আদালতে পাঠানো হবে। অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ধর্ষিতা গৃহবধু ও তার স্বামী মির্জাপুরের গোড়াই খান গার্মেন্টসে কাজ করেন। শুক্রবার বিকেলে কাজ শেষে শ্বশুরবাড়ি কালিহাতী উপজেলার আউলটিয়ায় বেড়াতে যায়।

 শ্বশুরবাড়ী থেকে মির্জাপুরে যাওয়ার উদ্দেশে সিএনজি যোগে কালিহাতীর এলেঙ্গা ও বাসযোগে রাত সাড়ে ১০টার দিকে শহরের নতুন বাসস্ট্যান্ডের নাভানা সিএনজি পাম্পের সামনে বাসের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। এ সময় আসামিরা কৌশলে গৃহবধূ ও তার স্বামীকে ওই গৃহবধূর কাছ থেকে স্বামীকে একটু দূরে নিয়ে চর থাপ্পড় মারতে থাকে এবং একটি মোবাইর ফোন ও ১ হাজার ২ শ টাকা ছিনিয়ে নেয়।

পরে বিষয়টি স্ত্রী দেখতে পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে তাকে জোর পূর্বক সিএনজি পাম্পের পিছনে নিয়ে যায়। পরে আসামিরা ওই গৃহবধূকে তিনটি স্থানে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। আসামি ইউসুফের নামে এর আগেও চারটি, রবিনের নামে দুটি ও মফিজের নামে পাঁচটি মামলা রয়েছে।