• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

বেহাল কালিয়াকৈর আশ্রয়ণ প্রকল্প

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ মে ২০১৯  

গাজীপুরের কালিয়াকৈরে তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্প সংস্কার না করায় টিন ফুটো ও মরিচা ধরে খসে পড়ছে। চালের উপর পলেথিন, ইট, কাঠ, মাটি দিয়ে কোনো রকম বৃষ্টির পানি থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ বাসিন্দারা, গতকাল সোমবার সরেজমিনে গিয়ে এই দৃশ্য দেখা গেল।

জানা যায়,  বৃষ্টি হলেই ঘরে পানি পড়ে। ঝড়ে খসে পড়ছে চালের পচা কাঠও। এতে কেউ কেউ আহত হয়েছেন। দিনরাতে যখনই বৃষ্টি ও ঝড় হচ্ছে, তখনই বিছানাপত্র গোছ-গাছ করে বসে থাকতে হচ্ছে। এ ছাড়াও নানা সমস্যা থাকলেও মিলছে না সমাধান। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে এসব আশ্রয়ণ প্রকল্প। ফলে কোনো কোনো বাসিন্দা আশ্রয়ণ ছেড়ে চলে গেছেন অন্যত্র। অতিদ্রুত সংস্কারের দাবি এখানকার বাসিন্দাদের।

উপজেলা প্রশাসন ও আশ্রয়ণ প্রকল্প সূত্রে জানা গেছে, ‘আশ্রয়ণের অধিকার শেখ হাসিনার উপহার’-এমন স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারি উদ্যোগে কালিয়াকৈর উপজেলায় তিনটি আশ্রয়ণ প্রকল্প নির্মাণ করা হয়। গত ১৯৯৮ সালে ভুলোয়া এলাকায় ৩ দশমিক ৯৬ একর জমিতে ভুলোয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প, ১৯৯৯ সালে সোনাতলা এলাকায় ৪ দশমিক ৫ একর জমিতে সোনাতলা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ২০০০ সালে শুধু প্রতিবন্ধীদের জন্য বান্দাবাড়ি এলাকায় ৯ দশমিক ৯২ একর জমিতে বান্দাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্প গড়ে তোলা হয়। এ তিনটি প্রকল্পে ১৫টি ব্রাকে ১৫০টি পরিবার বসবাস শুরু করে। যদিও বর্তমানে সেখানে জনসংখ্যা আরও বেশি।

জানা যায়, দীর্ঘ ১৯-২০ বছরের এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রায় প্রতিটি ঘরের টিনের চাল ফুটো ও মরিচা ধরে নষ্ট হয়ে খসে খসে পড়ছে। চালের উপর পলেথিন দিয়ে তার ওপর ইট, কাঠ, মাটি দিয়ে কোনো রকম বৃষ্টির পানি থামানোর চেষ্টা বাসিন্দাদের। কিন্তু যখনই বৃষ্টি হচ্ছে তখনই ঘরের ভেতরে পানি ঢুকে যাচ্ছে। বৃষ্টির সঙ্গে ঝড় হলে ঘরের চাল ও বেড়া পচে নষ্ট হওয়া কাঠও খসে নিচে পড়ছে। কোনো কোনো ঘরের টিন ও কাঠ ভেঙে নিচে পড়ে গেছে। কাঠ পড়ে আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। বৃষ্টি ও ঝড় শুরু হলেই বিছানাপত্র গুছিয়ে ঘরের এক কোণে বসে থাকতে হচ্ছে বাসিন্দাদের।

এটা শুধু দিনের চিত্র নয়, দিনরাতে যখনই বৃষ্টি ও ঝড় হচ্ছে তখনই আতঙ্কে বসে থাকেন এসব আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দরা। বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ায় কেউ কেউ তাদের ঘর ছেড়ে চলে গেছে অন্যত্র। এ ছাড়া রয়েছে আরও বিভিন্ন সমস্যা। সবমিলিয়ে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে এসব আশ্রয়ণ প্রকল্প। এখানে বসবাসরতদের অভিযোগ, এসব সমস্যার বিষয়ে সংশ্লিষ্টদের কাছে বারবার ধরনা দিলেও মিলছে না কোনো সমাধান।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা টাস্কফোর্সের সভাপতি কাজী হাফিজুল আমীন গতকাল সোমবার জানান, সম্প্রতি বান্দাবাড়ি আশ্রয়ণ প্রকল্পে ১৮ লাখ টাকার কাজ চলছে। জুনের মধ্যে সে কাজ শেষ করা হবে। অন্যগুলোর বরাদ্দ এলে পর্যায়ক্রমে কাজ করা হবে।