• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় বদলাতে টাকা নিলেন এসআই!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৯ মে ২০১৯  

এক লাখ টাকার বিনিময়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতের রায় পরিবর্তনের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে আশুলিয়া থানার এসআই মো. কামরুল হাসানের বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আশুলিয়ার এলাকায় অবস্থিত বেশ কয়েকটি অবৈধ সিসা গলানোর কারখানায় এ অভিযান পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ।

ভ্রাম্যমাণ আদালত অবৈধ সিসা তৈরির দুই কারখানায় অভিযান চালিয়ে পরিবেশের ক্ষতিসাধনের অপরাধে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর থানার ফুটনগর গ্রামের মৃত জাবেদ আলীর ছেলে জহির শিকদার (৬০) ও গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার মাহিগঞ্জ গ্রামের আহসান আলীকে (৫৫) এক মাস করে কারনণ্ড দেয়।

 

ওই রায় পরিবর্তন চেষ্টার অভিযোগের ব্যাপারে জানতে চাইলে এসআই কামরুল বলেন, ‘সিসা তৈরির কারখানার লোকজন রমজান মাসে কারাদণ্ড না দিয়ে অর্থদণ্ড প্রদানের মাধ্যমে আটককৃতদের ছেড়ে দেওয়ার জন্য আমার কাছে সুপারিশ করেন। এ ঘটনায় তারা আমার কাছে এক লাখ টাকা দিয়েছে, যা আমার কাছেই আছে। আমি বিষয়টি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে টেলিফোনে অর্ডার নিয়ে হলেও তাদের ছাড়ানোর চেষ্টা করব। অনথ্যায় তাদের টাকা তাদের ফিরিয়ে দেব।’

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ বলেন, আশুলিয়া কোনো প্রকার কাগজপত্র ছাড়াই বেনামিভাবে ব্যাটারি গলিয়ে সিসা প্রস্তুত করা হচ্ছিল, যা মানবদেহ ও উদ্ভিদের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। তাই বাংলাদেশ পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ২০১০ (সংশোধিত)-এর ৬ (ক) ধারা অনুযায়ী দুই কারখানার দুই কর্মচারীকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া কারখানা দুটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণাসহ মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

টাকার বিনিময়ে রায় পরিবর্তন চেষ্টার অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভ্রাম্যমাণ আদালতে রায় হয়ে গেলে সেটা ভাঙার কোনো সুযোগ নেই। এটা এডিএম কোর্টে আপিল করতে হবে। তখন রায় বহাল থাকলে আপিল খারিজ হয়ে যাবে। রায় পরিবর্তনের কথা বলে কোনো পুলিশ কর্মকর্তা টাকা নিয়ে থাকলে সেটা প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে।