• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২০ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাবিতে র‍্যাগিং নিয়ে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২ জুলাই ২০১৯  

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের দ্বিতীয় বর্ষের চার ছাত্রীর বিরুদ্ধে র‍্যাগিং এবং র‍্যাগিংয়ে বাধা দেওয়ায় চতুর্থ বর্ষের দুই ছাত্রীর বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী।

এদিকে মিথ্যা র‍্যাগিং ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনে হয়রানি করার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ওই ছাত্রলীগকর্মীর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযোগ এনেছেন ওই ছয়জন ছাত্রী।

গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর বরাবর র‍্যাগিং ও মানসিক নির্যাতনের লিখিত অভিযোগ করেন লোকপ্রশাসন বিভাগের তৃতীয় বর্ষের (৪৬তম ব্যাচ) শিক্ষার্থী তাসমিয়া মেহরীন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম আবু সুফিয়ানের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

তাসমিয়া মেহরীন লিখিত অভিযোগে বলেন, গত ২৪ জুন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রথম বর্ষের (৪৮তম ব্যাচ) শিক্ষার্থীদের গণরুমে গিয়ে র‍্যাগ দিচ্ছিলেন দ্বিতীয় বর্ষের (৪৭তম ব্যাচ) চারজন ছাত্রী। তারা হলেন আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের তিশরাত জাহান ও চাঁদনী আক্তার, অর্থনীতি বিভাগের নুসরাত জাহান ও ফার্মেসি বিভাগের লোবনা নাসরিন। তাদেরকে র‍্যাগিং দেওয়া অবস্থায় দেখে তাসমিয়া ও তার বন্ধু আনিকা তাবাসসুম (নৃবিজ্ঞান, ৪৬তম ব্যাচ) গণরুম ছেড়ে চলে যেতে বলেন। এরপর ওইদিনই রাত সোয়া ১ টার দিকে তাসমিয়া ও আনিকাকে হলের ২৪৩ নম্বর কক্ষে ডেকে পাঠান রাইসা নিশাত ও নিগার সুলতানা। তারা তাসমিয়া ও আনিকাকে গালাগাল ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেন।

এ র‍্যাগিং ও মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ ‘মিথ্যা ও হয়রানিমূলক’ দাবি করে তাসমিয়ার বিরুদ্ধে পাল্টা লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই ছয়জন ছাত্রী।

লিখিত অভিযোগে তারা বলেন, র‍্যাগিংয়ের কোনো ঘটনা সেদিন ঘটেনি। হলের প্রতিটি ব্যাচে একজন করে রিপ্রেজেটিন্টিভ (প্রতিনিধি) থাকে। হল সংশ্লিষ্ট সমস্যা নিয়ে পরদিন (২৫ জুন) হল প্রাধ্যক্ষের সঙ্গে প্রতিনিধিদের আলোচনা করার কথা ছিল। সেই আলোচনায় প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকে দুইজন ছাত্রীকে প্রতিনিধি হিসেবে উপস্থিত থাকতে বলার জন্য ওই চারজন ছাত্রী গণরুমে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাসমিয়া ও আনিকা তাদেরকে কোনো কথা বলার সুযোগ দেননি। কথা বলতে না দেওয়ার কারণ জানার জন্য তাদের দুজনকে ডেকেছিলেন রাইসা ও নিগার।

এ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ-উল-হাসান বলেন, দুটি অভিযোগই পেয়েছি। বিষয়টি হলের অভ্যন্তরীণ হওয়ার হল প্রাধ্যক্ষের কাছে ফরওয়ার্ড করেছি। হল প্রশাসনের পাশাপাশি প্রক্টরিয়াল টিমও কাজ করবে।

নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের প্রাধ্যক্ষ নাহিদ হক বলেন, ২৬ তারিখে হলের বিভিন্ন সমস্যার বিষয়ে প্রতিটি ব্যাচের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করি আমি। সেদিন এ বিষয়ে কথা হয়। ৪৭ ও ৪৮ দুই ব্যাচের ছাত্রীরাই বলেছিল, র‍্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটেনি। ৪৮ যেহেতু নতুন ব্যাচ, তাই তাদের প্রতিনিধি আছে কিনা সে বিষয়ে জানার জন্য ওই চারজন ছাত্রী গণরুমে গিয়েছিল। তিনি আরো বলেন, লিখিত অভিযোগ এখনো হাতে পাইনি। পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।