বিদ্যুৎ সংকটে বঙ্গবন্ধু সাফারি পার্ক: পশু-পাখি হুমকির মুখে

দিনের সিংহভাগ সময় বিদ্যুৎ না থাকার কারণে গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কের পশু-পাখির জীবন হুমকির মুখে পড়েছে বলে জানিয়েছেন পার্ক কর্তৃপক্ষ।

পার্কের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান জানান, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্কে দৈনিক প্রায় ৮-৯ ঘণ্টা বিদ্যুৎ থাকে না।

এতে পার্কের ইনকিউবেটরে ডিম ফুটানোতে সমস্যা হচ্ছে, পার্কের অ্যাকুরিয়ামের মাছ মারা যাচ্ছে, কোর সাফারি পার্কে প্রবেশ পথের মেকানিক্যাল গেট খোলা সম্ভব হয় না, ফলে ওই অংশে পর্যটকবাহী গাড়ি ঢুকতে পারে না, পশু-পাখির গুদামে সংরক্ষিত খাবার নষ্ট হয়ে যায়।

এছাড়া কয়েক হাজার পশু ও পাখির জন্য প্রয়োজনীয় পানির জোগান দেয়া সম্ভব না হওয়ায় হুমকির মধ্যে রয়েছে তারা। বিদ্যুতের অভাবে সম্প্রতি ইনকিউবেটরে থাকা ময়ুর পাখির ডিমও নষ্ট হয়ে গেছে।

নিয়মিত বিদ্যুৎ না থাকায় অ্যাকুরিয়ামের অক্সিজেনের অভাব দেখা দেয়ায় অনেক মাছও মরে গেছে। নিয়মিত পানি দিয়ে বাঘ-সিংহের বিষ্ঠা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন না করা গেলে মারাত্মক রোগজীবানু সংক্রমণের সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়া একই কারণে গোসলের জন্য এবং বিষ্ঠা পরিষ্কার করার জন্য পাখিশালায় পর্যাপ্ত পানির প্রয়োজন। কিন্তু প্রতিদিন পার্কে বিদ্যুতের সংকটে পানি সংকটে পড়তে হয়।

এ ব্যাপারে গাজীপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর কার্যালয়ে এবং জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন জানিয়েও কোনো সমাধান হয়নি। তবে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, তারা প্রতি মাসে প্রায় দেড় লাখ টাকা বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করেন। প্রতি বছর এ পার্ক থেকে প্রায় ১০ কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। সবদিক বিবেচনা করে এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবি জানিয়েছেন ওই কর্মকর্তা।

এখানে দুই ফেইজে বিদ্যুৎ সরবরাহ করলে হয়তো আর এ সমস্যা হবে না। সাফারি পার্ক প্রকল্প পরিচালক মিহির কুমার জানান, পার্কে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ না করার কারণে নিয়মিত ব্যবস্থাপনা (কার্যক্রম/কর্মকাণ্ড) বিঘ্নিত হচ্ছে।

এখানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ থাকা দরকার। এ ব্যাপারে তিনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি দ্রুত পদক্ষেপ নেয়ার অনুরোধ করেন। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২-এর ডিজিএম মো. জিল্লুর রহমান জানান, বিদ্যুতের কাজ চলার কারণে মাঝেমধ্যে শাটডাউন দেয়া হয়। এ সময় বিদ্যুৎ থাকে না। তবে কন্টিনিউ বিদ্যুৎ না থাকার কথাটি সঠিক নয়।