• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

১০৩ টাকায় স্বপ্ন পূরণ!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৮ জুলাই ২০১৯  

ছোট বেলাই স্বপ্ন ছিল চোখে মুখে বড় হয়ে পুলিশ হবে, এবার সেই স্বপ্নটা হাতে ধরা দিলো টাঙ্গাইল নাগরপুর উপজেলার কৃষকের সন্তান বন্যা আক্তারের। ভাবতো একদিন সংসারের হাল ধরবে বাবার হাড়ভাঙ্গা পরিশ্রমের সঙ্গে একটু ঠেস দিবে। 

 

গত বছর পুলিশে চাকরির ভাইভা পরীক্ষা পর্যন্ত গিয়েছিলেন বন্যা, কিন্তু হয়নি। দমে যাননি জীবন সংগ্রামে। চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন পুলিশে চাকরি করবেই । এবার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জেনেছেন ১০৩ টাকায় পুলিশের চাকরি পাওয়া যাবে। পুলিশের আইজিপি’র পক্ষ থেকে এমন প্রচারণা দেখে আবেদন করেছিলেন তিনি। শরীরিক ফিটনেস ও মেধা দু’টিই ছিল তার। এবার মাত্র ১০৩ টাকায় হয়েও গেলো সেই চাকরি।

 

 

দক্ষিণ নাগরপুর এলাকায় বন্যার বাড়ি। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে বন্যা সবার ছোট বন্যা পড়াশোনা করছেন নাগরপুর মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে অনার্স দ্বিতীয় বর্ষে। বাবা সোরহাব মিয়া পেশায় কৃষক।  

 

চাকরি পাবার পর বন্যা বলেন, আমি কল্পনাই করতে পারিনি যে ১০৩ টাকায় চাকরি পাবো। ঘুষ ছাড়াই চাকরি! ঘুষ ছাড়া চাকরি পেয়ে আমি খুবই আনন্দিত। আশা করছি এখন আমি পরিবারের হাল ধরে স্বচ্ছতা ফিরিয়ে আনতে পারবো।

 

অপরদিকে নাগরপুর উপজেলার ভাড়রা গ্রামের রিনি আক্তারেরও পুলিশে চাকরি হয়েছে। তিনি চলতি পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। ঘুষ ছাড়াই সরকার নির্ধারিত মূল্য ১০৩ টাকায় চাকরি পান তিনি। দুই বোন এক ভাইয়ের মধ্যে রিমি মেঝো।

 

তিনি আরো বলেন, মানুষের ধারণা ছিল টাকা ছাড়া পুলিশের চাকরি হবে না, কিন্তু এবার এ ধারণা ভুল প্রমাণিত হয়েছে। ঘুষ ছাড়াই আমরা চাকরি পেয়েছি। এতে আমি অনেক খুশি।

 

এ ব্যাপারে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সঞ্জিত কুমার রায় বলেন,স্বচ্ছতা এবং যোগ্যতার ভিত্তিতেই পুলিশের নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। শতভাগ স্বচ্ছ প্রক্রিয়ায় মেধা ও যোগ্যতার  ভিত্তিতেই মাত্র ১০৩ টাকায় ১৩৬ জন যুবক-যুবতীকে চাকরি দেয়া হয়েছে।

 

 তিনি আরো বলেন, সরকারসহ পুলিশের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা চাচ্ছেন পুলিশে স্বচ্ছতা ফিরে আসুক। সেই চাওয়া পূরণেই টাঙ্গাইল পুলিশ নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছতার সঙ্গে বাস্তবায়ন করেছে। এ ধারা আগামীতেও অব্যাহত রাখতে চাই।