• শুক্রবার ০৩ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৯ ১৪৩১

  • || ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

সখীপুর কৃষিবিভাগের ৬টি বীজাগারের ভবনই পরিত্যক্ত!

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৫ জুলাই ২০১৯  

টাঙ্গাইলের সখীপুরে ছয়টি ইউনিয়নের কৃষিবিভাগের ছয়টি বীজাগার ভবন পরিত্যক্ত জমিগুলোও চলে গেছে স্থানীয়দের দখলে গত ৪২ বছর ধরে ওইসব বীজাগারে কোনো কার্যক্রম না থাকায় ভবনগুলো অযত্নে অবহেলা পরিত্যক্ত  অবস্থায় পড়ে আছে এদের মধ্যে তিনটি ভবন ও জমি স্থানীয়দের দখলে আর বাকী তিনটির কোন অস্তিত্বই নেই

সম্প্রতি প্রতিটি কৃষকের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেওয়ার সুবিধার্থে মাঠপর্যায়ের কৃষি কর্মকর্তাদের আবাসিক সুবিধা দেওয়ার জন্য ওইসব জমিতে ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা করছে বর্তমান সরকারের কৃষি অধিদপ্তর কিন্তু সখীপুরের ওইসব ভবন ও জমি স্থানীয়দের দখলে থাকায় সরকারের এ পরিকল্পনা ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষিবিভাগ

স্থানীয় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে জানা যায়, ১৯৬২ সালে প্রতিটি ইউনিয়নে ইউনিয়ন ভিত্তিক বীজাগার হিসেবে ২০ শতাংশ জমির ওপর টিনসেড পাকা ভবন নির্মাণ করে সরকার ১৯৭৬ সালে সখীপুর থানা ঘোষণা হলে সখীপুর বাজারে কোনো পাকা ভবন না থাকায় গজারিয়া ইউনিয়নের বীজাগারের ভবনটি সখীপুর থানার অফিস হিসেবে ব্যবহার শুরু করেন

 এর ছয় বছর পর ১৯৮১ সালে সখীপুর থানা ওই ভবনটি ছেড়ে দিলে স্থানীয়রা ওই ভবন এবং জায়গা দখল করে নিজেদের মতো ব্যবহার করেন ১৯৮৯ সালে ডিগ্রি অনার্স মাস্টারস স্টুডেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ডিঅমস) নামের স্থানীয় একটি সংগঠন বীজাগারের ভবনটি তাদের অফিস হিসেবে দখলে নেয় ২০০০ সালে সখীপুর পৌরসভা স্থাপিত হলে ওই ভবনটি পুনরায় পৌরসভার কার্যালয় হিসেবে  ব্যবহার করেন তিন বছর পর ২০০৩ সালে পৌরসভার কার্যক্রম অন্যত্র চলে গেলে আবারও ডিগ্রি অনার্স মাস্টাস এসোসিয়েশন (ডিঅমস) অফিস হিসেবে দখলে নেয়

 সেই থেকে ডিঅমস এবং পরবর্তীতে আরও কয়েকটি সংগঠন ওই ভবনের কক্ষগুলো দখল করে আছে জমির এক অংশে জেলা পরিষদের অর্থায়নে সখীপুর বাজারের দোতলা গণশৌচার নির্মাণ করা হয়েছে এছাড়াও বীজাগারের বাকি জমিতে স্থানীয়রা চা স্টল, হোটেল ও দোকানপাট স্থাপন করে ব্যবহার করছেন