• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ময়লা ফেলে তুরাগ নদ দখল

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ১৮ আগস্ট ২০১৯  

বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ও ময়লা-আবর্জনা ফেলে তুরাগ নদের তীর দখল করা হচ্ছে এসব স্থানে বিভিন্ন ধরনের অবৈধ স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে এগুলো উচ্ছেদ করা হলেও আবারও স্থাপনা গড়ে তোলা হচ্ছে মিরপুর, আশুলিয়া, সাভার, তুরাগ, গাজীপুর ও টঙ্গী এলাকায় তুরাগের দুই তীর ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় দখলবাজদের দৌরাত্ম্যে বিলীন হয়ে যাচ্ছে এ নদ অন্যদিকে তুরাগ নদের ময়লা পানির দুর্গন্ধে সাধারণ মানুষকে চলাচলে মারাত্মক সমস্যায় পড়তে হচ্ছে

মিরপুর-বেড়িবাঁধের স্লুইসগেট, কামারপাড়া, ধউড়, কাঁঠালদিয়া, প্রত্যাশা ব্রিজ এলাকায় তুরাগ নদের তীরে বালুমহাল বানিয়ে মাসের পর মাস ব্যবসা করছে একটি সিন্ডিকেট প্রভাবশালী হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া যাচ্ছে না

তুরাগ নদে প্রতিনিয়ত ফেলা হচ্ছে কয়েক হাজার প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য নদীর পাড় থেকে ১৫০ ফুট দূরে স্থায়ী বা অস্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণের নির্দেশ রয়েছে হাইকোর্টের এমন নির্দেশ অমান্য করে নদীর পাড়ে গড়ে উঠছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সীমানা পিলার থেকে ১৫০ ফুট পর্যন্ত নদীর দাবি করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লি­উটিএ) বিআইডব্লিউটিএ’র কর্মকর্তারা জানান, জমি মালিকরা ইচ্ছামতো তুরাগ নদের পাড়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলছে এভাবে বিভিন্ন স্থাপনা স্থাপন সম্পূর্ণ বেআইনি তারা জানান, এসব প্রতিষ্ঠানের বর্জ্য পড়ায় দূষণের শিকার হচ্ছে নদ

রাজধানীর পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া চার নদীর মধ্যে তুরাগ নদ অন্যতম সেই তুরাগ নদকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান প্রতিদিন লাখ লাখ টন দূষিত বর্জ্য গিয়ে পড়ছে তুরাগ নদে এছাড়া নদীর পাড় ঘিরে নতুন নতুন স্থাপনা করা হচ্ছে

এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, একসময় যত দূর চোখ যেত এ নদের বিস্তৃতি চোখে পড়ত এখন নদীর পাড় ঘিরে গড়ে উঠছে বাস-ট্রাকের গ্যারেজ, হোটেল, বালুর গদিসহ বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা এসব প্রতিষ্ঠানের ময়লা-আবর্জনা পড়ছে এ নদে বিভিন্ন ধরনের বর্জ্য ও প্রভাবশালীদের দাপটে এ নদের অস্তিত্ব বিলীন হওয়ার পথে

বাংলাদেশ নদী বাঁচাও আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সম্পাদক মো. কালিমুল্লাহ ইকবাল বলেন, অবৈধ স্থাপনা প্রতিষ্ঠা করা নদীর জন্য হুমকিস্বরূপ সরকারকে দায়ী করে তিনি বলেন, রাজনৈতিক নেতাকর্মী ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় তুরাগের দুই-তৃতীয়াংশ দখল হয়ে গেছে তাছাড়া নদী রক্ষায় নিয়োজিত সরকারের কর্মকর্তাদের গাফিলতিতে নদনদী দখল ও দূষণ হচ্ছে উচ্ছেদের পর নদনদী দেখভাল না করায়ও কর্তৃপক্ষকে দায়ী করেন তিনি

উচ্ছেদের পর আবারও বিভিন্ন স্থাপনা গড়ে উঠেছে এমন প্রশ্নের জবাবে বিআইডব্লিউটিএ’র যুগ্ম পরিচালক এএএম আরিফ উদ্দীন বলেন, তুরাগ নদ ঘিরে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা গড়ে উঠেছিল সাম্প্রতিক সময় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয় ১৪১ দিন এ উচ্ছেদ অভিযান চালিয়ে সফলতা অর্জন করে বিআইডব্লিউটিএ কর্তৃপক্ষ যদি আবারও তুরাগ নদ দখল বা দূষণ করা হয় এমন অভিযোগ পেলে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে এ ছাড়া আমরা খুব দ্রুত আরেক দফা উচ্ছেদ অভিযান চালাব