• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে গণধর্ষণ, আটক ৬

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৪ ডিসেম্বর ২০১৮  

ঢাকার সাভারের আশুলিয়ায় স্বামীকে আটকে রেখে গার্মেন্টকর্মী স্ত্রীকে গণধর্ষণের ঘটনায় ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ। ধর্ষিতাকে পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে পাঠানো হয়েছে।

সোমবার রাতে আশুলিয়ার নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। এর আগে রোববার গভীর রাতে একই এলাকার নাছির নামে এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে ধর্ষণের শিকার ওই নারী ও তার স্বামীকে কক্ষে আটকে রাখা অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ।

আটকরা হলেন- নরসিংহপুর এলাকার মো. জিন্নাহর ছেলে জাহিদুল ইসলাম, একই এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে আজাদ হোসেন, জলিল সরকারের ছেলে রানা সরকার, কোণাপাড়া এলাকার আব্দুল সোবহান শেখের ছেলে রবিউল শেখ, একই এলাকার মো. রিয়াজুলের ছেলে রুবেল ও ঘোষবাগ এলাকার দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সাগর হোসেন। তবে রজন নামে জড়িত একজন পলাতক রয়েছে।

আশুলিয়া থানার এএসআই ফজিকুল ইসলাম বলেন, রোববার সন্ধ্যায় নরসিংহপুর সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় বন্ধুর বাড়িতে গার্মেন্টকর্মী স্ত্রীকে নিয়ে বেড়াতে যায় তার স্বামী। এসময় স্থানীয় এক ইউপি সদস্য তাহের মৃধার ম্যানেজার রজন, তার সঙ্গী রবিউল ও রবিউলসহ সাত জন ওই দম্পতিকে আটকে তারা স্বামী-স্ত্রী কি না সে ব্যাপারে জানতে চায়। পরে সোনা মিয়া মার্কেট এলাকার নাছিরের বাড়িতে স্বামী ও স্ত্রীকে পৃথক কক্ষে আটকে রাখে। এসময় রাজনসহ তার সঙ্গীরা গভীর রাত পর্যন্ত গার্মেন্টকর্মী ওই নারীকে একটি কক্ষে আটকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

পরে পরিবারের নিকট মুঠোফোনে ওই দম্পতির মুক্তিপণ হিসেবে ২০ হাজার টাকা দাবি করে ধর্ষণকারীরা। এঘটনায় পরিবারের পক্ষ রোববার রাত ১টার দিকে থানায় অভিযোগ করা হলে মুক্তিপণের টাকা প্রদানের শর্তে ফাঁদ পাতে পুলিশ। গভীর রাতে সোনা মিয়া মার্কেট এলাকায় রবিউল ও রুবেল মুক্তিপণের টাকা নিতে আসলে তাদের হাতেনাতে আটক করা হয়।

পরবর্তীতে আটকদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাতে সোনা মিয়া মার্কেট সংলগ্ন ইয়াপুর ইউপির ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য তাহের মৃধার অফিস থেকে এঘটনায় জড়িত আরো ৪ জনকে আটক করে পুলিশ। আটকরা ইউপি সদস্য তাহের মৃধার অনুসারী বলে জানিয়েছে। এঘটনায় থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করা হয়েছে।