• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

সামাজিক বনের প্লটপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৫ ডিসেম্বর ২০১৯  

টাঙ্গাইলের সখীপুরের সামাজিক বনায়নে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ ওঠেছে। বনের কাঠ চুরি বন্ধে সরকার সামাজিক বনায়ন কর্মসুচি গ্রহণ করলেও প্রকৃত গরিব অসহায় মানুষরা বনের প্লট পাচ্ছেনা না। প্লট বরাদ্ধের নামে শত শত প্লট প্রত্যাশীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছেন রেঞ্জ ও বিট কর্মকর্তারা। এদিকে টাকা দিয়ে দীর্ঘদিনেও প্লট না পাওয়ায় চরম হতাশায় রয়েছে প্লট প্রত্যাশীরা। দ্রুত প্লট বুঝিয়ে দেয়াসহ অভিযুক্ত বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেয়ার দাবি ভূক্তভোগীদের। 

জানা যায়, টাঙ্গাইলের সখীপুরে সংরক্ষিত সামাজিক বনের কাঠ চুরি বন্ধে এবং বনজ সম্পদ রক্ষার জন্য সরকার ভূমিহীন দরিদ্র বিধবা ও দূর্দশাগ্রস্থ গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর  সামাজিক ও অর্থনৈতিক সুবিধার লক্ষে ২০০৪ সালে সামাজিক বনায়ন কার্যক্রম  শুরু করে। 

প্রথম পর্যায়ে সামাজিক বনায়নের প্লটের তেমন কোনো চাহিদা না থাকলেও  বর্তমানে সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে আর্থিকভাবে লাভবান হওয়ায় প্লটের চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়েছে। যার ফলে ১টি প্লটকে ভেঙে ৪টি প্লট করে স্থানীয়দের মাঝে বন্টনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বন বিভাগ। এই সুযোগে সখীপুরের বাজাইল, কালিদাস, কচুয়া, আন্দি, নলুয়া, বহেড়াতৈল, মরিচাচালা, কালমেঘা, কৈয়ামধু, এমএমচালা, হতেয়া বীটের ওইসব কর্মকর্তারা প্রতিটি প্লট প্রত্যাশীর কাছ থেকে ২৫ থেকে ৬০ হাজার টাকা করে হাতিয়ে নিয়েছে। শুধু তাই নয় টাকা দিয়েও প্লট পাওয়া নিয়ে চরম অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে ওইসব প্লটপ্রত্যাশীদের মাঝে।

 অন্যদিকে টিএফ ফান্ডের টাকাও বুঝিয়ে দিচ্ছে না সমিতির সদস্যদের। ফলে আর্থিকভাবেও ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ওইসব প্লট প্রত্যাশীরা।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক প্লট প্রত্যাশীরা অসাধু বন কর্মকর্তাদের শাস্তিসহ দ্রুত প্লট বুঝিয়ে দেয়ার দাবি জানান। 

বাজাইল বিটের ৬০ হেক্টর বনায়ন সমিতির” সহ-সভাপতি টাকা নেয়ার বিষয়ে  স্বীকার করে বলেন- টাকা না দেওয়ায় প্রকৃত গরিবরা প্লট পান না। টাকার বিনিময়ে প্রভাবশালীরা একনামে একাধিক প্লট পেয়ে থাকেন।
উপজেলা বন কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আমিনুর রহমান বলেন, প্লট প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেলেও কোনো লিখিত অভিযোগ পাননি। ভূক্তভোগীরা লিখিতভাবে অভিযোগ করলে অভিযুক্ত বন কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবেন। 

বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোঃ হারুন অর রশিদ খান প্লট প্রত্যাশীদের কাছ থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়ে অস্বীকার করে বলেন- প্রমাণ পেলে অভিযুক্ত বিট কর্মকর্তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দেন।