• বুধবার ১৯ জুন ২০২৪ ||

  • আষাঢ় ৪ ১৪৩১

  • || ১১ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৫

ধামরাইয়ে নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে বেকারি খাদ্যসামগ্রী

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

ঢাকার ধামরাইয়ের  অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ঢুলিভিটায় অবস্থিত হাবিবা বেকারির খাদ্যদ্রব্য। এ  বেকারিতে তৈরি করা বিস্কুট, কেক, পাউরুটি, ফাস্টফুড, শিশুখাদ্যসহ রকমারি খাদ্যদ্রব্য খেয়ে ডায়রিয়া ও বমিসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন সাধারণ মানুষ। গত কয়েকদিন ধরে ওই বেকারির তৈরিকৃত লম্বা বিস্কুটসহ কিছু পণ্যে বালুর কণা ও চুল পাওয়ায় গতকাল দোকানদাররা তা ফেরত দিয়ে বেকারি বন্ধের বিক্ষোভ করেন।

 তারা জানান, হাবিবা বেকারির বিস্কুট খেয়ে তাদের এলাকার অনেকের নানা অসুখ দেখা দিয়েছে। বেকারির ম্যানেজার সফিকুল ইসলাম বিস্কুটে বালুর কণা পাওয়ার কথা  স্বীকার করে বলেন, যেসব বিস্কুটে বালুর কণা পাওয়া গেছে তা দোকানদারদের কাছ থেকে ফেরত এনে গোড়াউনে রাখা হয়েছে। জানা যায়, ধামরাই উপজেলার ঢুলিভিটা হাবিবা বেকারিতে  নোংরা ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে মানহীন উপাদান দিয়ে দিনের পর দিন রকমারি খাদ্যদ্রব্য তৈরি হচ্ছে। বেকারিতে নোংরা আসবাবপত্রে রাখা হয় বাহারি রকমের মুখরোচক বিস্কুট ও  কেক। পাশেই থাকে মেয়াদোত্তীর্ণ কিছু খাদ্যদ্রব্য।

ফেরত আসা পচা-বাসি খাবার চুল্লিতে দিয়ে গরম করে নতুন  মোড়কে আবার সেগুলো বিক্রি করা হয়। এমনই চিত্র দেখা হাবিবা বেকারিতে। চা ও মুদি দোকানদার আব্দুল বারেক, সোরত আলী জানান, গত বৃহস্পতি, বুধ ও মঙ্গলবার হাবিবা বেকারির বিস্কুট, রুটি ও কেক আমাদের দোকানসহ বিভিন্ন বাজারের চা ও মুদি দোকানে দেয়া হয়। উন্নতমানের ভেবে ওইসব বিস্কুট খেয়ে গোলাম রব্বানি, ফজলুল হক, মোহাম্মদ আলীসহ অনেকের ডায়রিয়া ও বমি হয়।  

তারা জানান, ওইসব বিস্কুটে বালি ও চুল ছিলো। যা নোংরা পরিবেশে তৈরি করা। ঘটনাটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল ওই এলাকার শতাধিক ব্যবসায়ী ও ক্রেতারা একত্রিত হয়ে হাবিবা বেকারি বন্ধের দাবি জানান। এলাকাবাসী দ্রুত হাবিবা বেকারি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন। এদিকে, ধামরাই পৌরসভার স্যানেটারি ইন্সপেক্টর মোকলেছুর রহমান খবর পেয়ে গতকালই ঢুলিভিটা হাবিবা বেকারি পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, খুব শিগগির ওই বেকারির বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।