• রোববার ০৫ মে ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ২১ ১৪৩১

  • || ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

লোকালয়ে কয়লার স্টক ইয়ার্ড, হুমকিতে পরিবেশ

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০২০  

ঢাকার ধামরাইয়ে ২০০ ইটভাটা রয়েছে যার অধিকাংশই অননুমোদিত ও অবৈধ। এসব অবৈধ ভাটায় ইট পোড়ানোর কাজে ব্যবহারের জন্য জ্বালানির যোগান দিতে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক লাগোয়া বাথুলী বাসস্ট্যান্ডের সঙ্গেই খোলা আকাশের নিচে পরিবেশ বিধ্বংসী পিট কয়লার বিশাল এক স্টক ইয়ার্ড গড়ে তুলেছে একটি প্রতিষ্ঠান।

 এখান থেকে প্রতিদিন ২০/৩০ ট্রাক কয়লা উপজেলার ভাটাগুলোতে সরবরাহ করা হচ্ছে। এতে এলাকার পরিবেশ দূষিত হচ্ছে। এলাকাবাসীর অভিযোগ—বাতাসে কয়লার গুঁড়া ছড়িয়ে এলাকায় দেখা দিচ্ছে শ্বাসকষ্টজনিত নানা রোগ। জনস্বাস্থ্য পড়েছে হুমকির মুখে। 

এর আগে পত্রপত্রিকায় এ ব্যাপারে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশিত হলেও কারো টনক নড়েনি, এমন কি এর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থাও নেওয়া হয়নি। জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ক্ষতিসাধন করে অবাধে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এলাকার অনেকেই সাংবাদিকদের বলেন, ‘কয়লা উড়ে বাড়িঘর, গাছপালার ওপর পড়ছে। এতে সবকিছু নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এই কয়লার কারণে আমরা বাড়িঘরে টিকতে পারছি না। আপনারা লেখালেখি করে তাড়াতাড়ি এই কয়লার পাহাড় সরানোর ব্যবস্থা করেন।’

স্টক ইয়ার্ডটির পাশেই স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়। পরিষদের অনুমোদন ছাড়াই এই বিশাল কয়লার ক্ষতিকর স্টক ইয়ার্ড গড়ে তোলা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন সূতিপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা।

 তবে এ বিষয়ে স্টক ইয়ার্ড কর্তৃপক্ষের কারো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। ধামরাইয়ে সদ্য যোগদানকারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. ইফফাত আরা বেগম জানান, ‘কয়লার এ ধরনের স্টক ইয়ার্ড জনস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকর।’

 উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ সামিউল হক জানালেন, ‘বাথুলীতে কয়লার স্টক ইয়ার্ড গড়ে তোলার বিষয়টি আমার জানা নেই।’ পরিবেশ অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা অফিসের উপ-পরিচালক শাহেদা বেগম বলেন,‘পরিবেশ বিধ্বংসী বা নষ্টকারী যে কোনো কর্মকাণ্ডের খবর পেলে আমরা তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেব।’ এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তরের মনিটরিং অ্যান্ড এনফোর্সমেন্ট উইংয়ের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট (ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক) প্রকৌশলী কাজী তামজীদ আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, ‘অফিস আদেশ পেলেই এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে’।