• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রেমিকের সহযোগিতায় মাকে হত্যা করে মেয়ে

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৮ জানুয়ারি ২০২০  

প্রেমিকের সাথে রাজি না হয়ে অন্যত্র বিয়ে দেয়ার চেষ্টা করায় পরিকল্পিতভাবে মাকেই হত্যা করে জ্যোতি। সহযোগী ছিলো প্রেমিক ও তার তিন বন্ধু।  মানিকগঞ্জের দক্ষিণ সেওতা গ্রামে গত বুধবার ঘরে ঢুকে গৃহবধূ মাহমুদা বেগম হত্যা মামলায় আটক জ্যোতি স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দিতে এ কথা জানায়।  রবিবার বিকেলে মানিকগঞ্জ জ্যুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের সিনিয়র বিচারক শাকিল আহম্মেদে আদালতে এই জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মানিকগঞ্জ সদর থানার এসআই শামিম আল মামুন। তিনি জানান, গত নভেম্বরে জ্যোতির স্বামীর সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরমধ্যে ফেসবুকের মাধ্যমে প্রণয় গড়ে উঠে কেরাণীগঞ্জের আরাকুল গ্রামের নাঈমের সাথে। নিজেরা বিয়ের জন্য প্রস্তুতিও নেয়। কিন্তু জ্যোতির মা মাহমুদা বেগম এতে রাজি ছিলেন না। তিনি মেয়েকে অনত্র বিয়ে দেয়ার জন্য চেষ্টা চালিয়ে আসছিলেন। পাশাপাশি মেয়েকে শাসনও করতেন। 

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে প্রেমিক নাঈমের সাথে জোট করে জ্যোতি মাকেই হত্যার পরিকল্পনা করে। ঘটনার আগের দিন অর্থাৎ গত মঙ্গলবার রাতেই প্রেমিক নাঈম, রাকিবসহ আরও দুই বন্ধু অবস্থান নেয় জ্যোতির শোবার ঘরে। বন্ধুদের ভাড়া করা হয় দেড় লাখ টাকায়। এরমধ্যে জ্যোতি তার স্বর্ণালংকার এবং নগদ ১৬ হাজার টাকা দিয়ে প্রাথমিকভাবে কিছু শোধ করে। রাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটনার পরিকল্পনা থাকলেও তা সম্ভব হয়নি। বুধবার সকালে জ্যোতির বাবা জহিরুল ইসলাম আলিয়ার প্রাতঃভ্রমণে বাড়ির বাইরে যায়। এই সুযোগে গলা টিপে হত্যা করা হয় জ্যোতির মা মাহমুদা বেগমকে। 

তদন্ত কর্মকর্তা জানান, কথাবার্তায় অসংলগ্নতা থাকায় ঘটনার দিনই জ্যোতিকে আটক করা হয়। পরে তার তথ্যের ভিত্তিতে আটক করা হয় নাঈম ও রাকিবকে। অন্য দুজনকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে। কোর্টে হাজির করার পর জ্যোতিকে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।  রবিবার সে স্বীকারোক্তিমুলক জবানবন্দি দেয়।