মানিকগঞ্জ-১ আসনে ধানের শীষ পেলেন ডাবলু জিন্নাহ কারাগারে

উচ্চ আদালতের রায়ে মানিকগঞ্জ-১ আসনে  ‘ধানের শীষ’ প্রতীক পেলেন বিএনপির প্রয়াত মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেনের পুত্র জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি এবং জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু। সোমবার(২৪ ডিসেম্বর)  দুপুরে হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালত বিএনপি প্রার্থী এস এ জিন্নাহ কবিরের হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিল খারিজ করে দেয়।

এতে তিনি বিএনপির প্রার্থিতা হারান। সেই সঙ্গে নাশকতার মামলায় গতকাল  মানিকগঞ্জ আদালতে হাজিরা দিতে এলে জামিন নামঞ্জুর হওয়ায় বিএনপি প্রার্থিতা বাতিল হওয়া নেতা জিন্নাহ কবিরকে আটক করে পুলিশ। জানা গেছে, মানিকগঞ্জ-১ আসনে কৌশলগত কারণে বিএনপির পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে মনোনয়ন দেয়া হয় তিনজনকে। অন্য প্রার্থী হলেন দৌলতপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক তোজাম্মেল হক তোজা।  তবে চূড়ান্ত মনোনয়নের দৌড়ে থেকে যায় এস এ জিন্নাহ কবির এবং অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু।

কিন্তু বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফকরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত পত্রে এই দুজনকেই চূড়ান্ত মনোনয়ন দিলে জটিলতা সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে মহাসচিবের সঙ্গে কথা বলে বৈধ প্রার্থী হিসেবে এস এ জিন্নাহ কবিরকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

কিন্তু রিটার্নিং কর্মকর্তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এবং নিজেকে বৈধ প্রার্থী দাবি করে হাইকোর্টে রিট করেন অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলু। আদালত তার পক্ষে রায় দেন এবং নির্বাচন কমিশনকে তাকে ধানের শীষ প্রতীক বরাদ্দ দেয়ার আদেশ দেন।

এস এ কবীর জিন্নাহ হাইকোর্টের দেয়া এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল করেন। সোমবার সকালে হাইকোর্টের চেম্বার জজ আদালত পূর্বের দেয়া আদেশ বহাল রাখলে মানিকগঞ্জ-১ আসনে অ্যাডভোকেট খোন্দকার আব্দুল হামিদ ডাবলুর মনোনয়ন বৈধ এবং ধানের শীষ প্রতীক পান। এদিকে মনোনয়ন থেকে বাদ পড়া প্রার্থী এস এ কবীর জিন্নাহ তার বিরুদ্ধে করা নাশকতার মামলায় জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করে মানিকগঞ্জ চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। এদিকে এই আসনের নৌকা প্রতীকে দ্বিতীয়বারের মতো  নির্বাচন করছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক নাইমুর রহমান দুর্জয়।