• সোমবার ২৯ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

মানিকগঞ্জের বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ ডিসেম্বর ২০১৮  

মানিকগঞ্জ জেলা সদর থেকে ২৩ কিলোমিটার পশ্চিমে সাটুরিয়া উপজেলা সদর থেকে একটু ভিতরে গেলেই চোখ পড়বে দৃষ্টিনন্দন সাদা রংয়ের বিশাল বিশাল চারটি ভবনের দিকে যার নাম  বালিয়াটি জমিদার বাড়ি

বিশাল বিশাল ভবন জমিদার আমলে জমিদারদের বিত্ত বৈভবের কথাই স্মরণ করিয়ে দেয় ঝড়-তুফান, বৃষ্টি-বাদল উপেক্ষা করে এখনো কালের সাক্ষী হিসেবে টিকে আছে এইসব ভবন  জমিদার বাড়ির সিংহ দরজায় প্রবেশ করলেই চোখে পড়বে প্রশস্ত আঙিনা এগুলোর পেছনে জমিদার বাড়ির অন্দরমহল রয়েছে কয়েকটি কূপ ও  পুকুর

প্রায় ১৬ হাজার ৫৫৪ বর্গমিটার জমির ওপর মোট সাতটি স্থাপনায় ঐতিহ্য বুকে ধরে এখনো কালের সাক্ষী  হয়ে সগৌরবে দাঁড়িয়ে থাকা জমিদার বাড়িটি চার ভাগে বিভক্ত

যার প্রথমটি স্থাপত্যকৌশলের অন্যতম নিদর্শন বালিয়াটি প্রাসাদ সুবিশাল প্রাসাদটি পাঁচটি স্বতন্ত্র ব্লকের সমন্বয়ে গঠিত যার মধ্যে পূর্বদিকের একটি ব্লক ছাড়া চারটি ব্লকের দুটিতে একটি দ্বিতল ভবন এবং একটি টানা বারান্দা বিশিষ্ট ত্রিতল ভবন রয়েছে বর্তমানে কেন্দ্রীয় ব্লকটি যাদুঘর ও জমিদার বাড়ির সংগ্রহশালা হিসেবে ব্যহৃত হচ্ছে

লবণের একটি বিশাল গোলা ছিল বলেই ধারণা করা হয় বাড়িটির আরেকটি অংশের নাম গোলাবাড়ি জমিদার বাড়িটির ঐতিহ্য শুরু ব্যবসাকে কেন্দ্র করেই

বাড়ির পশ্চিম অংশের নাম পশ্চিম বাড়ি আর পূর্ব অংশে বাড়ির অবস্থান বলেই এ বাড়ির নাম পূর্ববাড়ি এ বাড়ির প্রথম জমিদার পুরুষ রায় চাঁন তিনি দুটি বিয়ে করেন প্রথম স্ত্রীর সন্তানদের সম্পত্তির দশ আনা অংশ এবং দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রীর সন্তানদের দান করেন ছয় আনা অংশ দশ আনির জমিদার বাড়িটিই বর্তমানে পর্যটকদের দর্শনীয় স্থান এখানে পশ্চিম থেকে পূর্ব পর্যন্ত চারটি সুবৃহৎ অট্টালিকা বিদ্যমান

এগুলো বড় তরফ, মেঝো তরফ, নয়া তরফ এবং ছোট তরফ নামে পরিচিত ছয় আনির জমিদার বাড়ির অস্তিত্ব বর্তমানে নেই

জমিদার বাড়ির সবগুলো ভবন একসাথে স্থাপিত হয়নি তবে ভবনগুলো ঊনবিংশ শতকে নির্মিত হয়েছে বলে ধারণা প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের জমিদার বাড়ির বিভিন্ন ভবন জমিদার পরিবারের বিভিন্ন উত্তরাধিকার কর্তৃক বিভিন্ন সময়ে স্থাপিত হয়েছিল

একটি নিম্নবিত্ত সাহা পরিবার থেকেই পরবর্তীতে বালিয়াটী জমিদার বংশ গোড়াপত্তন করে এই প্রাসাদটি বর্তমানে বাংলাদেশ প্রত্নতাত্ত্বিক বিভাগ কর্তৃক সংরক্ষিত ও পরিচালিত