বাড়িভাড়া ভর্তুকি কমানোর প্রতিবাদে জাবি শিক্ষকদের মানববন্ধন

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বেতন-ভাতা থেকে বাড়িভাড়া ভর্তুকি কমানো এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির  বিরোধী কর্মকান্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধন এবং সংবাদ সম্মেলন করেছে শিক্ষকরা।

বুধবার ( ২৩ জানুয়ারি) সকাল ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও বামপন্থি শিক্ষদের জোট ‘সম্মিলিত শিক্ষক সমাজে’র ব্যানারে এ সব কর্মসূচি পালন করা হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের বেতন-ভাতা থেকে বাড়ি ভাড়ার ভর্তুকি কমানো হলেও জাবি শিক্ষক সমিতি কোন ব্যবস্থা বা প্রতিবাদ করেনি। বক্তারা শিক্ষক বিরোধী এমন সিদ্ধান্তের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। একই সাথে শিক্ষক সমিতির শিক্ষকদের স্বার্থ বিরোধী মনোভাব থেকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান।

মানববন্ধনে বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।

মানববন্ধন শেষে দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনের সেমিনার কক্ষে সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আসন্ন শিক্ষক সমিতির নির্বাচনে সম্মিলিত শিক্ষক সমাজের মনোনীত সভাপতি প্রার্থী এবং গাণিতিক ও পদার্থ বিষয়ক অনুষদের ডিন অধ্যাপক অজিত কুমার মজুমদার।

তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অ্যাক্ট ও অধ্যাদেশ বিরোধী কর্মকান্ড পরিচালনা, শিক্ষা ও গবেষণা কার্যক্রমে স্থবিরতা, অনিয়ম এবং বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকদের অধিকারহরণ, মর্যাদাহানির কাজে লিপ্ত।’ এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান উপাচার্য শুধু অ্যাক্ট লংঘন করছেন না। তিনি বর্তমানে শিক্ষকদের হয়রানি ও ভোগান্তির কারণ হয়েছেন।

শিক্ষক সমিতির বিরোধী কর্মকান্ডের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি শিক্ষকদের স্বার্থ, সম্মান ও স্বাধীনতা সংরক্ষণে সোচ্চার হওয়ার কথা থাকলেও উপাচার্য শিক্ষক সমিতিকে নিজের ক্ষমতা রক্ষা ও অনুগত ব্যক্তিদের স্বার্থসিদ্ধি অব্যাহত রাখার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।

তিনি আরও বলেন, ‘গত ৭ নভেম্বর সিন্ডিকেটে শিক্ষকদের বাড়ি ভাড়ার ভাতা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সেই সভায় উপস্থিত থাকা সত্তেও শিক্ষকদের পক্ষে না গিয়ে উপাচার্যের সমর্থক হয়ে কাজ করেছেন। এটা সাধারণ শিক্ষকদের সাথে তামাশা ও  প্রতারণার সামিল।’

তবে, শিক্ষক সমিতির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক রাশেদা আখতার বলেন, ‘সিন্ডিকেটে এ সম্পর্কিত আলোচনা  হয়েছে  কিন্তু কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তাই এখন পর্যন্ত কোন শিক্ষকের বেতন থেকে টাকা কাটা হয়নি।  যে সব শিক্ষকরা সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে উপস্থাপন করছেন সেটা সঠিক নয়। আমরা বেতন ভাতা থেকে বাড়ি ভাড়ার ভাতা কমানোর বিষয়ে সরকারি সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিট করার।’