• শনিবার ১৮ মে ২০২৪ ||

  • জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩১

  • || ০৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

প্রাণী সম্পদ হাসপাতালের বেহাল দশা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২৫ জানুয়ারি ২০১৯  

মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ হাসপাতালে গবাদি পশুর সঠিক মানের চিকিৎসা সেবা মিলছে না ভুক্তভোগীদের এমন অভিযোগ থাকলেও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি তারা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন

সরেজমিনে দেখা যায়, হাসপাতালের সামনে কয়েকজন খামারি তাদের ছাগল ভেড়া, কবুতর, মুরগি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে ভেটেরিনারি সার্জন ও প্রাণী সম্পদ  কর্মকর্তা আসবে তাই তাদেরকে অপেক্ষা করতে বলা হয়েছে তাদের অবর্তমানে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আরজু মিয়া চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন

পাটগ্রাম থেকে আসা কবুতর খামারী রুবেল হোসেন বলেন, তিনি একটি কবুতর নিয়ে এসেছেন তার কবুতর কয়েকদিন ধরে সাদা পায়খানা করে ডাক্তার তার কবুতর দেখলেও কোনো ওষুধ দেয়নি

পদ্মা নদী ভাঙন কবলিত এসব এলাকায় গরুর খুরা রোগ, ডাইমাটাটিস, ছাগল, ভেড়ার পিপিআর ভাইরাস, হাঁস-মুরগীর রানীক্ষেত, ঠান্ডা, জ্বরসহ বিভিন্ন ধরণের  মারাত্মক সংক্রামক রোগের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে আর এসব রোগ নির্নয়ের জন্য কোনো উন্নত মানের যন্ত্র নেই

 কৃমি নির্ণয়ের জন্য যে মাইক্রোস্কোপ আছে সম্প্রতি সেটিও নষ্ট হয়ে গেছে ফলে পশুর রোগ পরীক্ষার জন্য আঞ্চলিক প্রাণী রোগ গবেষণা কেন্দ্র বা জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে পরীক্ষা করা হয় এতে করে পশুর চিকিা সেবা ব্যাহত হচ্ছে

তথ্যানুসারে, হাসপাতালটিতে প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রয়েছে ১জন, ভেটেরিনারি সার্জন ১ জন, ইউএলও ১ জন, ডিএফএ ৩ জন, কম্পাউন্ডার ১ জন, এফ এ  (এ/আই) ১ জন, অফিস সহকারী ২ জন, ড্রেসার ১জন এবং ১৩ জন ওর্য়াড কর্মীসহ মোট ২৪ জন কর্মকর্তা রয়েছে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে এ হাসপাতালে ৭৫ থেকে ৮০ হাজার  টাকার ওষুধ আসে এ অর্থ দিয়ে গবাদি পশুর সারা বছরের ওষুধ ক্রয় করা হয় পশুর কৃত্রিম প্রজনন হয়েছে ৯২৫টি টিকা প্রদান করা হয়েছে ১৫৮০ টি, নভেম্বর মাসে হাস মুরগীকে টিকা দেয়া হয়েছে ৪০,৫০০টি

হাসপাতালের ভেটেনারি বিভাগের সার্জন মো. আতিকুর রহমান বলেন আমাদের কাজ কেন্দ্রে না আমাদের মাঠপর্যায়ে বেশিরভাগ কাজ করতে হয় তাই খামারীরা অফিসে এসে পায় না