• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

মার্কিন সেনাঘাঁটিতে চারবার হামলা

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২০ অক্টোবর ২০২৩  

গত ২৪ ঘণ্টার চারবার মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। এর মধ্যে দুবার ইরাকে ও দুবার সিরিয়ায় মার্কিন ঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। বার্তাসংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) লেবাননের সংবাদমাধ্যম আল মায়াদিন টিভির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইরান ও জর্ডানের সীমান্তবর্তী সিরিয়ার আল তানফ ঘাঁটিতে ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এ ছাড়া দেশটির উত্তরাঞ্চলে দিয়ার ইজ্জর এলাকায় কনোকো ঘাঁটিতে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানো হয়েছে। ইউরোপভিত্তিক অ্যাকটিভিস্ট ওমার আবু লায়লা বলেন, ইরাকের সীমান্তবর্তী দেইর আল জউর এলাকায় তিনটি ড্রোন হামলা হয়েছে।ব্রিটেনভিত্তিক সিরিয়ার মানবাধিকার পর্যবেক্ষক রামি আবদুর রহমান জানান, তিনি কনোকো গ্যাস ফিল্ড এলাকায় পাঁচটি বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

অন্যদিকে বার্তাসংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, ইরাকে মার্কিন সেনাঘাঁটি লক্ষ্য করে গত ২৪ ঘণ্টায় দুবার হামলা হয়েছে। এ হামলায় দুটি ড্রোন ও রকেট ব্যবহার করা হয়েছে। দুটি ড্রোন হামলার মধ্যে একটিতে কয়েকজন সেনা সামান্য আহত হয়েছেন। এ ছাড়া অন্যটি ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়েছে সেনা সদস্যরা। দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানিয়েছে, রাকের আইন আল আসাদ সেনাঘাঁটিতে ড্রোন ও রকেট হামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) ইরাকের পশ্চিমাঞ্চলের এ ঘাঁটিতে হামলা হয়। এ সময় সেখানে বেশ কয়েকেটি বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে।

দেশটির সেনাবাহিনী জানিয়েছে, হামলার পরপরই সেনাঘাঁটি এলাকা ঘিরে উদ্ধার অভিযান শুরু করা হয়েছে। তবে হামলায় হতাহতের কোনো খবর এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। ইরাকের এ ঘাঁটিতে মার্কিনসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ফোর্সের অবস্থান রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, আইন আল আসাদ ঘাঁটি ছাড়াও বাগদাদের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছাকাছি অপর এক মার্কিন সেনাঘাঁটিতে হামলা হয়েছে। তবে তারা হামলার বিষয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য জানায়নি।

স্থানীয় পুলিশ জানায়, সেনাঘাঁটির সীমানার মধ্যে অন্তত দুটি রকেট হামলা করা হয়েছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে এ হামলাকে ক্যাম্প ভিক্টরি বলে উল্লেখ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, নিজেদের সেনাঘাঁটিতে হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। সেনাঘাঁটিতে এ হামলা পূর্ব সিরিয়া এবং পশ্চিম ইরাকে মোতায়েন করা ইরানভিত্তিক কোনো উগ্রবাদী দলের কাজ হয়ে থাকতে পারে।