• মঙ্গলবার ৩০ এপ্রিল ২০২৪ ||

  • বৈশাখ ১৬ ১৪৩১

  • || ২০ শাওয়াল ১৪৪৫

জরুরি আইন চায় ইসরায়েল

মানিকগঞ্জ বার্তা

প্রকাশিত: ২১ অক্টোবর ২০২৩  

গাজার বিরুদ্ধে ইসরায়েলের চলমান যুদ্ধ নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশের কারণে আলজাজিরাসহ বিদেশি গণমাধ্যমের কার্যক্রম সাময়িকভাবে স্থগিত করতে ইসরায়েলি সরকার জরুরি বিধি-বিধানের অনুমোদন দিয়েছে।টাইমস অব ইসরায়েলের মতে, ইসরায়েলি যোগাযোগমন্ত্রী শ্লোমো কারহি আলজাজিরার স্থানীয় ব্যুরো বন্ধ করতে অভিযোগ তোলা থেকে প্রবিধানগুলো পাস করা পর্যন্ত নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার দাবি, গণমাধ্যমটি ইসরায়েলের জাতীয় নিরাপত্তার সঙ্গে আপস করেছে।

শ্লোমো কারহি বলেছেন, ‘ইসরায়েল স্থল, আকাশ, সমুদ্র ও বিদেশি কূটনীতির ফ্রন্টে যুদ্ধে লিপ্ত রয়েছে। আমরা কোনোভাবেই রাষ্ট্রের নিরাপত্তার ক্ষতি করে এমন সম্প্রচারের অনুমতি দেব না। আলজাজিরার সম্প্রচার ও প্রতিবেদনগুলো ইসরায়েলের বিরুদ্ধে উসকানি তৈরি, হামাস-আইএসআইএস এবং সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোকে তাদের প্রচারে সহায়তা এবং ইসরায়েলের বিরুদ্ধে সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।’

নতুন নিয়ম জারি হলে, প্রতিরক্ষামন্ত্রীর সহযোগিতায় যোগাযোগমন্ত্রী টেলিভিশনের সংযোগপ্রদানকারী বা কেবল অপারেটরদের সম্প্রচার বন্ধের আদেশ দেওয়ার ক্ষমতা পাবেন। ইসরায়েলের মধ্যে সংবাদ সংস্থার অফিস বন্ধ করার আদেশও দিতে পারবে তারা।

সেই সঙ্গে সরঞ্জাম বাজেয়াপ্ত এবং ওয়েবসাইট বন্ধ বা প্রবেশাধিকার সীমিতও করতে পারবে তারা।
লন্ডনভিত্তিক গণমাধ্যম মিডল ইস্ট আই এক প্রতিবেদনে বলেছে, ‘জাতীয় মনোবলের জন্য ক্ষতিকারক’ বলে মনে হওয়া যেকোনো সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন কারহি, এমনকি তিনি ইসরায়েলি জাতীয়তার হলেও।

নতুন নিয়মের ফলে সাংবাদিকদের বাসস্থানে তল্লাশি, তাদের জিনিসপত্র বাজেয়াপ্ত করা এবং সরকারের কাছে অবাঞ্ছিত মনে হওয়া বক্তব্যের জন্য গ্রেপ্তা্র করা হতে পারে। উল্লেখ্য, এ সিদ্ধান্তের জন্য নিরাপত্তাসংক্রান্ত মন্ত্রিসভার অনুমোদন প্রয়োজন। পাশাপশি অবশ্যই নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানকে আইনি মূল্যায়নে নিশ্চিত করতে হবে, গণমাধ্যমটি জাতীয় নিরাপত্তার ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে।